প্রথম শর্ত কৃষি-কাজকে ভালোবাসতে হবে। যদি সামান্য জমি থাকে ও কৃষি-কাজে মন থাকে তাহলে মরশুমি ফুলের চাষ করে প্রচুর লাভ করা সম্ভব। মুরশুমি ফুলের নার্সারি বর্তমানে বিকল্প রোজকারের পথ দেখাচ্ছে। ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, এস্টার, ক্যালেন্ডুলা সহ নানা শীতকালীন ফুল বাড়ির সামনের ছোট্ট জায়গায় শোভা পায় প্রতিটি পরিবারে। ফলে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর এমন কি জানুয়ারী পর্যন্ত বিভিন্ন শীতকালীন ফুল গাছের চাহিদা বাজারে থাকে। ফলে অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। শীতের সময়টা বাড়িতে বাগান করতে ভালবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বাড়ির সামনে উঠোনের একটু ফাঁকা জায়গা হোক বা ছাদে তবে শীতকালীন নানা ধরনের ফুলের গাছ লাগান বহু মানুষ। ফলে নার্সারি থেকে ডালিয়া চন্দ্রমল্লিকা সহ নানান ধরনের ফুলের গাছ বহু সংখ্যক বিক্রি হয়। ফলে এবার শীতের আগেই মরশুমি ফুল গাছের ব্যবসা আপনাকে লাভবান করে তুলবে।
এই বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম একাধিক নার্সারি মালিক ও কৃষি আধিকারিকের সঙ্গে। তাঁরা জানালেন, এই শীতকালীন ফুলের নার্সারি খুব সহজেই কম জায়গায় তৈরি করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে এটি একটি বিকল্প রোজগারের পথ। বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে স্বনির্ভর বা স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার একটি আদর্শ উপায়। সামান্য খরচে ছোট্ট জায়গায় মুরশুমি ফুল গাছের নার্সারি থেকে মাসিক ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। এ বিষয়ে এক নার্সারীর মালিক জানান, শেষ পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন মুরশুমি ফুল ও ফল চারা গাছে নার্সারি করেছেন। এখান থেকে রোজকার হচ্ছে ভালই। তিনি আরও জানান, নিজের হাতে বীজ থেকে বা কলম পদ্ধতিতে গাছ তৈরি করেন না। অন্য কোন বড় নার্সারি থেকে পাইকারি মূল্যে বিভিন্ন চারা গাছ নিয়ে আসেন। এবং তা খুচরো বাজারে বিক্রি করেন। আর তাতেই লভ্যাংশের পরিমাণ যথেষ্ট ভাল।
বর্তমান সময়ে গাছ লাগান বহু মানুষ। নার্সারিতে বিভিন্ন ফুল ফলের চারা গাছের চাহিদা বাড়ছে। অন্যদিকে শীতের মরশুমী বিভিন্ন শীতকালীন ফুল ও ফল চাহিদা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। সহজেই এই নার্সারি তৈরি করে বেকার যুবক-যুবতীরা আর্থিকভাবে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারবে।