বাংলাদেশের এই মুহূর্তের পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে ওই দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা কিছুটা কোনঠাসা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বাংলাদেশের হিন্দুরা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করবে, এমন আশঙ্কা করা হলেও যাদেরকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে শনাক্ত করা হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা মুসলমান। বিশ্ব শর্মা বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে আসাম এবং ত্রিপুরা একসঙ্গে কাজ করছে। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গকেও কঠোর অবস্থানে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে অত্যাচারিত রোহিঙ্গা ও হিন্দুদের একটা অংশ ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে চলেছে।
তিনি আরও বলেছেন, দুই মাস ধরে প্রতিদিনই আমরা আমাদের রাজ্যে একজন অথবা একদল বিদেশি আটকের ঘটনা ঘটছে। আমার কথা হলো, ভারত- বাংলাদেশের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ সীমানার কারণে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, কিছু লোক এখনো আমাদের দেশে আসছেন।তিনি জানান, গত দুই মাসে আসাম ও ত্রিপুরায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করা ১৩৮ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই ধরনের অনুপ্রবেশ এড়াতে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোকে অবশ্যই সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আসামের মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করান তিনি।