‘পেঁপে’ কাঁচা অবস্থায় সবজি ও পেকে গেলে ফল।দুটোই মানব দেহের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।তবে এ বিশ্বে এমন কিছু নেই,যা শুধু উপকার করে।পেঁপের ক্ষেত্রেও কিছু বিধিবিষেধ আছে।গবেষকেরা বলছেন,কাঁচা পেঁপে সামান্য খাওয়া যেতে পারে কিন্তু বেশি খাওয়া একদম উচিত নয়।খেতে হবে সেদ্ধ করে/রান্না করে।পেঁপে কাঁচা খেলে এলার্জি বেড়ে যেতে পারে।গর্ভবতী মহিলাদের পেঁপে বেশি না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র।পাকা পেঁপের বীজ যথেষ্ট বিষাক্ত।তাই কোনো কারণে ভুল করে তা খাবেন না
১০০ গ্রাম পেঁপেতে আছে ৩৯ ক্যালরি ।এ ছাড়া আছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আঁশ, ভিটামিন এ,বি,সি,ডি । এছাড়া পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ও অ্যালবুমিন এনজাইম থাকে পেঁপেতে। পেঁপে অনেক রোগ সারাতে কার্যকর, এটা শত শত বছর ধরেই স্বীকৃত। হজমের জন্য এই ফল খুবই উপকারি।
ফলে এই ফল বা এই সবজি লিভার ও ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখে, অন্ত্রের ক্ষতিকর উপাদান দূর করে। পেঁপে খেলে শরীর সতেজ হয় ও জীবনী শক্তি ফিরে পাওয়া যায়। পাকস্থলীর অতিরিক্তি এসিড দূর করে, তাই যারা গ্যাস্ট্রিক ও বুক জ্বালায় ভুগছেন, তাদের জন্য পেঁপে খুব উপকারি।বাড়ন্ত শিশুর জন্য পেঁপে একটি আদর্শ খাবার। পেঁপের আরো উপকারিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
জাপানের একটি গবেষণার রিভিউ পত্রে প্রকাশ পেয়েছে, কাঁচা বা পাকা পেঁপে –
১) শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২) পেঁপেতে থাকা কাইমোপ্যাপিন আর্থরাইটিস প্রতিরোধ করে।
৩) কোষ্ঠিকাঠিন্য দূর করে।
৪) দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়।
৫) পেঁপেতে থাকা প্যাপিন শরীরের বিভিন্ন যন্ত্রনা দূর করতে সাহায্য করে।
সামগ্রিকভাবে পেঁপে একটা অত্যন্ত উপকারী ফল ও সবজি।তাই প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় অল্প করে পেঁপে রাখুন।