মহিলা ঘটিত একাধিক অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ফলে মার্কিনি মহিলাদের একটা অংশ বেশ ক্ষুব্ধ ট্রাম্পের উপর। অথচ ট্রাম্প বিপুল ভোটে জিতে গেলেন। সেই ক্ষোভ আটকে রাখেন নি এক শ্রেণীর মার্কিন মহিলা। আর সেই ‘অভিযোগে’ই ক্ষোভে ফুঁসে উঠে তাঁরা শুরু করলেন ৪বি আন্দোলন। কী এই আন্দোলন? সহজ ভাবে বললে পুরুষদের সঙ্গে যৌনতা, সম্পর্ক, বিয়েতে ‘না’। সন্তানের জন্ম দিতেও রাজি নন আন্দোলনকারীরা। ৪বি আন্দোলনের জন্ম দক্ষিণ কোরিয়ায়। ‘মিটু’ আন্দোলনের পর সেদেশে দেখা গিয়েছিল এহেন আন্দোলন। ২০২১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়ল দাবি করেন, এই আন্দোলনের জেরে নরনারীর ‘সুস্থ’ সম্পর্ক বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে সেদেশের জন্মহার কমে যাওয়ায় প্রমাণিত, প্রেসিডেন্টের দাবি কতটা নির্ভুল ছিল। আর সেই আন্দোলন থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এবার মার্কিন মুলুকেও একই ধরনের প্রতিবাদে শামিল মার্কিন মহিলাদের একাংশ। বিশ্বকে চমকে দিয়ে এবার পথে এক শ্রেণীর মার্কিন মহিলা।
প্রসঙ্গত কমলা হ্যারিস মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইতিহাস তৈরি হত। প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট পেত আমেরিকা। যদিও ভারতীয়-আফ্রিকান বংশোদ্ভূত প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইতিহাস রচনা করা হল না তাঁর। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। ম্যাজিক ফিগার ২৭০ টপকে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৯৫টি, সেখানে কমলাকে থামতে হয়েছে ২২৬-এ। এই হারে বেজায় চটেছেন মার্কিন মহিলাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, এবারের নির্বাচনের ফলাফল বুঝিয়ে দিয়েছে তাঁদের মতামত কোনও গুরুত্বই পায় না। তারা প্রতিবাদে লিখেছে, নিজেদের শরীরটা পুরুষকে দেওয়া ও না দেওয়ার স্বাধীনতা আমাদের আছে। যে পুরুষেরা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন, তাদের আমরা শরীর দেবো না।