আমাদের হাজার বছরের আয়ুর্বেদ শাস্ত্র ‘জিরা’কে মানব দেহের মহৌষধ বলে আসছে। আধুনিক পুষ্টি বিজ্ঞানের গবেষণায় তার সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে। জিরায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন বিদ্যমান, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগপ্রতিরোধে বিশেষ কার্যকর। জিরায় আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন-এ ও সি আছে। জিরায় আয়রন বিদ্যমান থাকায় হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে রক্তশূন্যতা দূর করে। এছাড়াও জিরায় আছে এমন অনেক উপাদান যা মানব দেহেকে বহুদিক থেকে সুস্থ রাখে। জিরার উপকারিতা নিয়ে পুষ্টি বিশারদেরা বলছেন –
১) ওজন কমাতে সাহায্য করে।
২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৩) রক্ত শূন্যতা দূর করে।
৪) অম্বল বিনাশ করে।
৫) কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে।
৬) গ্যাস্ট্রিক নিরাময়ে সাহায্য করে।
৭) বমিভাব দূরীকরণে উপকারী।
৮) দেহের জলশূন্যতা দূর করে।
৯) অনিদ্রা দূর করে।
১০) স্মৃতিশক্তি উন্নতি করে।
এছাড়াও জিরাতে আছে প্রচুর বিবিধ উপকার। যেমন –
শরীরের জ্বালাপোড়া দূর করে,বার্ধক্য রোধ ও ব্রণ নিরাময়ে জিরা বিশেষ উপকারী।
জিরা ব্যবহারের নিয়ম।
রান্নায় যেভাবে জিরা ফোড়ন দেওয়া হয়,তা ভালো। তবে প্রত্যক্ষ উপকার পাওয়ার জন্য ২ ভাবে জিরা-জল বানাতে পারেন।
১) রাতে ১ গ্লাস জলে ১ চামচ জিরা ভিজিয়ে রেখে সেই জল সকালে খেয়ে নেওয়া।
২) জিরার আরো ভালো উপকার পেতে গেলে ১ লিটার জলে ২ চামচ জিরা গরম জলে ১০ মিনিট ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সকালে ও বিকেলে ওই জল খেয়ে নিন।
হাতেনাতে উপকার বুঝতে পারবেন।