‘ফুচকা’ শব্দটা শুনলেই জিভে জল আসে প্রায় সকলের। কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ফুচকা খেতে ভয় পান। ভয়ের কিছু কারণ হয়তো আছে। কারণ ফুচকা স্ট্রিট ফুড। ফলে কতটা হাইজিনিক তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে এখন স্ট্রিট ফুডের চাহিদা প্রচুর। মানুষ খাচ্ছেও। এবার প্রশ্ন ফুচকা খেলে কি ওজন কমে? কবিরাজি মতে ‘টক’ ওজন কমায় ও ‘মিষ্টি’ ওজন বাড়ায়। ট্রেডিশনাল ফুচকাতে থাকে তেঁতুল জল। তেঁতুল মানুষের ওজন কমায় – এটা কবিরাজি সিদ্ধান্ত।
এবার আসল কথা। কঠিন ডায়েট চলাকালীন অনেকেই ফুচকা এড়িয়ে চলেন। যেহেতু ফুচকায় প্রচুর মশলা রয়েছে তাই একে ওজন বর্ধক হিসাবেই ধরা হয়। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ফুচকা খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম একটি হল ওজন কমানো। দ্রুত ওজন ঝরাতে চাইলে, ফুচকা খাওয়া যেতেই পারে। যেহেতু ফুচকার জল টক ও মশলাদার, তাই এটি খিদে কমাতে সাহায্য করে যা অবশেষে ওজন হ্রাসের জন্য সাহায্য করে।
এখনকার ফুচকায় থাকে পুদিনার জল। দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখা পুদিনার গুণ। ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে সুবিধে হয়। এছাড়া যে কোনওরকম টকজলই ওজন কমাতে পারে। আমরা অনেকেই জানি না পুদিনাপাতার এত গুণ যে বছরভরই খাওয়া যায়। বিশেষ করে ডিটক্স ওয়াটারের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ পুদিনাপাতা। ডায়েটিশিয়ানরা ক্লান্তি কমাতে এবং ওজন কমানোর জন্য ঘরে তৈরি ফুচকার পরামর্শ দেন। বাড়িতে ফুচকা বানানোর একটা সুবিধা হল এটি কম তেলে ভাজা যায়। অতিরিক্ত স্বাস্থ্য উপকারের জন্য ফুচকার সঙ্গে জিরা বা জল জিরার জলও ব্যবহার করা যেতে পারে।