রবিবার সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এক মহিলা সাংবাদিক শালীনতা হানির অভিযোগ আনেন। সারাদিন তা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়। সন্ধ্যার পরে এই নিয়ে মুখ খুললেন তন্ময় ভট্টাচার্য। অভিযোগ আসার পরেই সিপিএমের পক্ষ থেকে তাকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। দলের এই সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক বললেন প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। একই সঙ্গে এদিন ওই মহিলা সাংবাদিককে ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় কী হয়েছিল, তা নিয়েও মুখ খুললেন এই বাম নেতা। এই ঘটনায় কাল বিলম্ব না করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের কুনাল ঘোষ ও দেবাংশু ভট্টাচার্য। দেবাংশু কোনো ভাষা সংযম না রেখেই বলেন,’সুশান্ত থেকে তন্ময়, সিপিএম মাত্রই পটেটো প্রবলেম।’ দেবাংশুর এই ভাষা ব্যবহারে ক্ষুব্ধ নাগরিক মহল।
মহিলা সাংবাদিকের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে তিনি বলেছেন, তন্ময় ভট্টাচার্য তাঁর সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করেছেন, তার কোলে বসে পড়েছেন। এই পর্যন্ত খবর পেয়ে স্বাভাবিক কারণেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। অবশেষে তন্ময় ভট্টাচার্য সন্ধ্যার পরে সাংবাদিকদের বলেন, “একটি মেয়ে অভিযোগ করা মানেই যে সাসপেন্ড করতে হবে, দল যদি এটা মনে করে, তাহলে ঠিক কাজ করেছে। কাল অন্য কারও বিরুদ্ধে যদি কোনও মেয়ে অভিযোগ করে, তাঁকেও সাসপেন্ড করবে। এই রুটিনে যদি দল চলে যায়, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আমি আশা করেছিলাম, দল আমার কথা শুনবে।” এর পরে ওই মহিলা সাংবাদিকের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তন্ময় কিছু প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন,
১) ওই মহিলা বলেছেন যে আমি আগেও তার সাথে অশালীন ব্যবহার করেছি। তাহলে তিনি কেন বার বার করে আমার সাক্ষাৎকার নিতে এসেছেন। তিনি যোগ করেন, ওই সাংবাদিক অন্তত ১৫ বার আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
২) তিনি কেন আগে এই অভিযোগ আনেন নি।
৩) তিনি অভিযোগ তার অফিসের কর্তৃপক্ষকে বা থানায় না জানিয়ে হঠাৎ করে একটা ভিডিও পোষ্ট করলেন কেন?
৪) তার ক্যামেরাম্যান কেন সেই মুহূর্তে প্রতিবাদ করলেন না?
শেষে তিনি বলেন,কেন তিনি এই মিথ্যা অভিযোগ করলেন তা এই মুহূর্তে আমি কিছু মেলাতে পারছি না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “চক্রান্ত, ফাঁসানো এখনই কিছু বলছি না। অভিযোগটা শুনে আমি স্তম্ভিত। একটা কুরুচিকর, পরিকল্পিত কুৎসা।”পরে অবশ্য বরানগর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলা সাংবাদিক।