কোনো পুলিশ ওখানে ছিল না বললে, স্বীকার করতে হবে যে জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম দাবি – হাসপাতালে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা – তা করা হয় নি। আর সরকার পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, হাসপাতালে পুলিশ অনেক বাড়ানো হয়েছে। তা যদি সত্যিই হয়, তাহলে এটাই প্রমাণ হয় যে পুলিশ অন্ধ হয়ে ছিল। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রবিবাসরীয় সকালে, হকি স্টিক, উইকেট নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ঢুকে তুমুল মারধর করলো এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে। আর তার জেরে রোগীর আত্মীয়রা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। এই মুহূর্তে ওই ওই দুই গোষ্ঠী কারা হতে পারে তা বুঝতে খুব বেশি অসুবিধা কারোর হচ্ছে না।
এসএসকেএম হাসপাতালে আজ মোটরবাইক নিয়ে ঢুকে পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী বলে খবর। তাদের হাতে ছিল হকি স্টিক, উইকেট এবং লাঠি জাতীয় কিছু বস্তু। ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে থাকে তারা। চিকিৎসাধীন এক রোগীর আত্মীয়কে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তারের অভিযোগ, হামলা যেখানে হয়েছে সেখানে পুলিশ ছিল। কিন্তুপুলিশ নীরব দর্শক ছিল।
এই হামলার ঘটনায় এক যুবকের মাথা ফেটে যায়। আর তখনই পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। তাঁরা ট্রমা কেয়ার সেন্টারের দিকে ঢুকে ব্যাপক মারধর করতে শুরু করে। এই ট্রমা কেয়ার সেন্টারের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক রোগীর ছেলে সৌরভ মোদক। তাঁকেই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মাথা ফাটে তাঁর। এসএসকেএম হাসপাতালের এক কর্মী বলছেন, হঠাৎ করে এমন তাণ্ডব দেখে হকচকিয়ে যাই। তবে কাউকে চিনতে পারিনি। মনে হচ্ছে এই হাসপাতালের দুই গোষ্ঠীর ক্ষমতা প্রদর্শনের লড়াইয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়বে। অপরাধীরা ধরা পড়বে কি না – তা পরের প্রশ্ন। কিন্তু হাসপাতালের নিরাপত্তা যে নেই তা আবার প্রমাণিত।