অন্যান্য বহু স্কুল তাদের দেখানো পথে এগিয়ে আসতে পারলে আখেরে স্কুলেরই উপকার হবে। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার একটি স্কুল হল গোঘাট হাই স্কুল। হুগলির আরামবাগ সাব ডিভিশনে এর মধ্যে অবস্থিত এই স্কুল পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ছেলেমেয়েদের কাছে শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। স্কুল সংলগ্ন রয়েছে স্কুলের হোস্টেল। সেই হোস্টেলে বহু সংখ্যক ছাত্র তারা পড়াশোনার জন্য থাকে। ছাত্রদের খাবার জন্য স্কুল প্রতিমাসে মাথা পিছু আঠারোশো টাকা করে বরাদ্দ করেছে। কিন্তু সেই টাকার মধ্যে প্রত্যেক মাসের সুষম খাবার দেওয়া সম্ভব হয় ওঠেনা সব সময়। সেই কারণে স্কুলের প্রাঙ্গণেই ছাত্র শিক্ষকদের মিলিত উদ্যোগে চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন শাকসবজি এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় আলু। ছাত্র শিক্ষক সমবেতভাবে এই আলু চাষে হাত লাগিয়েছে।
তাদের এই উদ্যোগে খুশি এলাকাবাসী। এলাকার অন্যান্য স্কুল থেকেও তাদের চাষ দেখতে আসে। এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তরুণ কান্তি কোঙার বলেন, স্কুলের হোস্টেলের ছাত্রদের খাবার জন্য মাথাপিছু যে টাকা বরাদ্দ করা থাকে তাতে সম্পূর্ণভাবে তাদের সুষম আহার দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই বেশ কিছু বছর ধরে তারা স্কুলের মধ্যে চাষ করছেন। সেই চাষের ফসল হওয়ার ফলে কিছুটা সুবিধা হচ্ছে ছেলেদের খাওয়া-দাওয়া করাতে। তিনি আরও জানান যবে থেকে তারা স্কুলের মধ্যে চাষ করতে শুরু করেছেন তাতে ছেলেদের একটু ভাল করে খাওয়া দাওয়া করানো যাচ্ছে। সেই কারণে প্রতিবছর হোস্টেলে ছাত্র সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্কুলের কাছে সীমিত অর্থ থাকে। সেই সীমিত অর্থের মধ্যেই কীভাবে সুষম আহার দেয়া যায় ছেলেদের, সেই কথা মাথায় রেখেই তারা চাষের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। বর্তমানে স্কুলের ছাত্র শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রয়াসে স্কুলের মধ্যেই চাষ করা হচ্ছে আলু থেকে বিভিন্ন শাকসবজি।