সেই গাঁজা লুকিয়ে রাখার পদ্ধতি চমকে দিয়েছে আফগারী দপ্তরের ও সি আই ডি আধিকারিকদের। বুধবার বিকেলে মাজেদের বাড়ির পাশের গুদাম এবং দু’টি এসইউভি গাড়িতে তল্লাশি চালান সিআইডি-র মাদক দমন শাখা এবং স্পেশ্যাল অপারেশন্স গ্রুপের সদস্যেরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা। প্রথমে গুদামে কিছু না পেলেও দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে মেঝের টালিতে ফাঁক দেখতে পান গোয়েন্দারা। সেই টালি সরাতেই বেরিয়ে আসে ভূগর্ভস্থ চেম্বার। সেখানে ৩১টি বস্তায় গাঁজা রাখা ছিল। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয় মাজেদকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার তিনটি মোবাইল। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে।
তল্লাশি চলাকালীন প্রচুর মানুষ ভিড় জমায় আশেপাশে। সেই মাদক কারবারির বাড়ি লাগোয়া গুদামের ভূগর্ভস্থ চেম্বার এবং দু’টি গাড়ির সিটের নীচের গোপন কুঠুরি থেকে প্রায় এক কোটি টাকার গাঁজা উদ্ধার করেছেন সিআইডি-র গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই কারবারিকে। সিআইডি জানিয়েছে, ধৃতের নাম শেখ মাজেদ আলি। তার বাড়ি বাউড়িয়া থানার চককাশী এলাকায়। এক গোয়েন্দা-কর্তা জানান, ধৃতকে জেরা করে জানা যায়, বাড়ির বাইরে থাকা দু’টি এসইউভি গাড়িতে আরও গাঁজা মজুত রয়েছে। এই তিনটি জায়গা থেকে সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৭১১.৬৫ কেজি গাঁজা। মাজেদের বিরুদ্ধে বাউড়িয়া থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ।