শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে এই যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ দুর্নীতি বলা হচ্ছে। আর তার জন্য সমস্ত বাংলার মুখ কালো হয়ে গেছে বিশ্বের কাছে। সেই দুর্নীতির পরিনাম আজ ঘোষণা হতে চলেছে। প্রশ্ন উঠেছে, যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করতে পারবে এসএসসি? সুপ্রিম কোর্টে আজই (সোমবার) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শেষ শুনানি। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে হবে শুনানি। দুপুর ২টায় শুনানি শুরু হওয়ার কথা। গত ২৭ জানুয়ারি এই মামলার শুনানিতে মূল মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ফের পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, আবারও পরীক্ষা নেওয়া হোক। আর তার মাধ্যমেই যাঁরা যোগ্য, তাঁরা স্পষ্টভাবে সামনে চলে আসবেন। তাঁর আবেদন, ২০১৬ সালে পরীক্ষায় যাঁরা বসেছিলেন, তাঁদের ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা পেরিয়ে গিয়ে থাকলেও তাঁদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। তাঁর যুক্তি অযোগ্যরা নেতাদের টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছেন। এতে শেষ হয়ে যাচ্ছে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা। আর রাজ্য যদি অযোগ্যদের চিহ্নত করতে পারে, তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
এদিকে রাজ্যের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে OMR শিট নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তাই অযোগ্যদের চিহ্নত করা যাচ্ছে না। বিকাশ ভট্টাচার্যের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে কলকাতার ওয়াই চ্যানেলে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা চাকরি করছেন। সরকারের ব্যর্থতার জন্য আবার তাঁদের পরীক্ষায় বসানো অমানবিক পদক্ষেপ হবে। গত ২৭ জানুয়ারির শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি শেষ করবেন। আজ (সোমবার) রাজ্য সরকার ও এসএসসি-র বক্তব্য শুনবেন প্রধান বিচারপতি। যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা না গেলে পুরো প্যানেল বাতিল করার ইঙ্গিত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এখন সবটা নির্ভর করছে শীর্ষ আদালতের উপর।