প্রায় ‘বিনা মেঘে বজ্রপাতে’র মতো ঘটনাটা সামনে আসতেই এলাকার মানুষ চমকে ওঠেন। কারণ তিনি মানুষের সঙ্গে খুব ভালোভাবে মিশে যেতেন। নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন সকলের সঙ্গে। পূর্ব মেদিনীপুরের(Purba Medinipur) ভগবানপুর(Vagabanpur) গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের অস্বাভাবিক মৃত্যু। রবিবার রাতে তমলুকের(Tamluk) একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় মহিলার। চিকিৎসকদের দাবি, চুল রং করার কেমিক্যাল(Chemical) খেয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে কী কারণে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন ওই বিজেপি নেত্রী, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
২০২৩ সালে ভোটে লড়েন নবনীতা কুইলি বর্মন(Nabanita Kuili Barman)। জয়ের পর ভগবানপুর(Vagabanpur) ১ নম্বর ব্লকের ইলাশপুরের(Ilashpur) বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন। সংসারের পাশাপাশি বেশ জমিয়ে রাজনীতি করতেন তিনি। স্থানীয় নেত্রী হিসাবে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা ছিল নবনীতা(Nabanita)। তাঁর এই মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না এলাকার মানুষ।
আরও পড়ুন
After ‘Diksha,’ The ‘Conversation’ Began:’দীক্ষা’র পরে শুরু হয়ে গেলো ‘আলাপচারিতা’ – মহিলা ভোট এখন মমতার পাখির চোখ
কোনো পারিবারিক অশান্তি না এর পিছনে অন্য কোনো কারণ – তা নিয়ে সংশয় পুলিশের। বিজেপি নেত্রীর বাপেরবাড়ির লোকজনের দাবি, রবিবার রাতে আচমকাই তাঁরা জানতে পারেন নবনীতা(Nabanita) হাসপাতালে ভর্তি। কোনওক্রমে ওই হাসপাতালে দৌড়ে আসেন তাঁর পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে পৌঁছে তাঁরা জানতে পারেন, নবনীতা(Nabanita) শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তখন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় তমলুকের(Tamluk) এক বেসরকারি হাসপাতালে। তবে বিশেষ লাভ হয়নি। মৃত্যু হয় নবনীতা(Nabanita)। আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বিজেপি নেত্রী নাকি এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিবেশীদের দাবি, রাজনীতি অতিরিক্ত জড়িয়ে পড়ার ফলে সংসারে সেভাবে সময় দিতে পারতেন না নবনীতা(Nabanita)। তা নিয়ে ইদানীং নাকি দাম্পত্য সম্পর্ক কিছুটা নষ্ট হচ্ছিল। সে কারণেই সম্ভবত নবনীতা(Nabanita) চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।