হিন্দুধর্ম পুনর্জন্ম ও ভূতে বিশ্বাস করে। ভারতীয় জ্যোতিষ মনে করে মানুষ মৃত্যুর পরে ভূতলোকে গমন করে। ইহজীবনে তাদের কাজের উপর ভিত্তি করে তাদের যেতে হয় এক একটি ভুটলোকে। ১৮ প্রকার ভূতের বর্ণনা দেওয়া রয়েছে, গরুড় পুরাণে। গরুড় পুরাণ মতে মৃত্যুর পর সবাই ভূত হয়ে যায়। কেউ তার জীবনে কী ধরনের কাজ করেছে এবং তাঁর পাপ ও পুণ্যের বিচার করে ঠিক হয় কেউ মৃত্যুর পর কোন ভূত হবে। ১৮ প্রকার ভূতের বর্ণনা দেওয়া রয়েছে, গরুড় পুরাণে। তবে তার মধ্যে ৫ প্রকার ভয়ানক ভূতের আলোচনা বিস্তৃতভাবে করা হয়েছে এই পুরানে।
১) ভূত – কথিত ইচ্ছা মৃত্যুর আগে অপূর্ণ থাকে তাঁরা মৃত্যুর পর ভূতের জগতে চলে যায়। এই ধরনের প্রেতাত্মারা প্রায়শই এমন লোকদের চারপাশে ঝুলে থাকে যারা বেঁচে থাকতে তাদের কষ্ট দেয়।
২) ব্রহ্মরাক্ষস – ব্রহ্মরাক্ষস হল তাঁরা যারা জীবিত অবস্থায় তন্ত্র মন্ত্র জ্ঞানে নিযুক্ত থাকে এবং অন্যের ক্ষতি করার জন্য তন্ত্র মন্ত্রের ব্যবহার করে। এই ধরনের লোকেরা মৃত্যুর পর ব্রহ্মরাক্ষস হয়ে যায়। বিশ্বাস ব্রহ্মরাক্ষস শুধুমাত্র একজন ব্যক্তিকে নয় তাঁর পুরো পরিবারকে ধ্বংস করে। ভূত আত্মার মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং শক্তিশালী হওয়ায় এঁদের ভূতের রাজাও বলা হয়।
৩) ডাইনি – গরুড় পুরাণ মতে জীবিত মহিলারা যাঁরা অন্যদের হয়রানি করে বা কালো যাদু করে মানুষকে হত্যা করে তাঁরা মৃত্যুর পরে ডাইনি হয়ে যায়। ডাইনিরা প্রায়ই মহিলাদের শিকার করে। বিশ্বাস ডাইনিদের পা উল্টো হয়।
৪) পৈশাচিক ভূত – পৈশাচিক ভূত হল তাঁরা যাঁরা তাঁদের ক্ষমতা ব্যবহার করে অন্যের ক্ষতি করে। এই ধরনের লোকেরা তাঁদের শক্তি দিয়ে পৈশাচিক শক্তিকে ডেকে আনে এবং জীবিতদের ক্ষতি করার জন্য তাঁদের ব্যবহার করে। পৈশাচিক প্রেতাত্মারা ঈশ্বরের নামকে ভয় পায়।
৫) দ্বিতীয় ভূত – আরও এক ধরনের ভয়ানক ভূতের কথা গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে। তারা হলেন দ্বিতীয় ভূত। ভূতদের মধ্যে ভূতকে সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস মৃত্যুর পরে যে সমস্ত মানুষ ভূতের জগতে চলে যায়, তাঁদের জীবনে কেবল মানুষের খারাপ করেছে। আসলে ভূত হল মানুষের আত্মা যারা শুধুমাত্র মানুষের খারাপ কাজ করে বা অন্যকে বিরক্ত করে।