কিছুদিন আগেই শুভেশু অধিকারী ভাবনীপুর থেকে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন। শুভেন্দুর অংকটা বেশ পরিষ্কার যে ওই কেন্দ্রে অধিকাংশ হিন্দু ভোটার আর তার মধ্যে একটা বড়ো অংশ অবাঙালি হিন্দু। ইতিমধ্যে শুভেন্দু একাধিক সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা অঞ্চলে। কিছুটা হলেও কি শঙ্কিত মমতা? বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে মেগা সভা করেই মমতা ছুটেছিলেন ভাবনীপুরে কাউন্সিরদের সঙ্গে মিটিং করতে। গত লোকসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রের কিছু পুর এলাকা থেকে বিরাট মার্জিন ভোট পেয়েছিল বিজেপি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট ৫টি পুর এলাকায় এগিয়ে ছিল তারা। অন্যদিকে, তৃণমূল জিতেছিল মাত্র তিনটি। সামনেই ছাব্বিশের নির্বাচন। লক্ষ্যমাত্রা ২১৫কে ধরে রাখতে এখন প্রতিটা ভোটই গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূলের কাছে। এই পরিস্থিতিতে ভবানীপুরে তলে তলে বাড়ন্ত বিজেপির ভোটে এখন রাশ টানতে ও সংগঠনকে আরও মজবুত করতেই আয়োজন হয়েছিল এই বিশেষ বৈঠকের। মূলত, লোকসভা ভোটের পর অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪৭টিতে পিছিয়ে শাসকদল। যা নিয়ে মমতার সঙ্গে বেশ কয়েকবার নাকি বৈঠকেও বসেছিলেন ববি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এছাড়াও ছিলেন সুব্রত বক্সীর ভাই সন্দীপ বক্সী। ছিলেন ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসীম বসু, দেবলীনা বিশ্বাস, কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন। কী কী বিষয়ে হল আলোচনা? সূত্রের খবর, ভবানীপুরের উন্নয়ন, পাশাপাশি, সকল প্রকল্পের সুবিধা পুরসভার মানুষরা পাচ্ছেন কিনা সেই বিষয়ে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও, ভোটার তালিকা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চলা গোলযোগ নিয়েও সেই বৈঠকে কথা তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।