কোচবিহারের পানশিলা গ্রামে এমন অভিযোগ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এমন কি প্রকাশ্যে মাইকে তা ঘোষণাও করা হচ্ছে। বর্তমান সময়ে রাজ্য জুড়ে বহু মহিলাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা পেয়ে থাকেন। তবে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতেও দিতে হবে টাকা। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল রাজ্যের এই জেলা থেকে। দুয়ারে সরকারের কাগজ-সহ ১০০ টাকা করে জমা দিতে হবে। ঠিক এমন ভাবেই পানিশালা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছিল। এমনটাই অভিযোগ করেন গ্রামেরই এক বাসিন্দা। গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল হক জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নামে গরীব মানুষের কাছে টাকা চাওয়ার ব্যাপারটি নজরে আসে তাঁর। এরপর তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি ভাইরাল করেন। আর তাতেই বিপদ বেড়েছে তার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটা প্রচার করার পরেই তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতেই রীতিমত পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতির রোশানলে পড়তে হয় তাঁকে। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলবার হুমকিও দেওয়া হয়। এরপর গোটা ঘটনা তিনি পুলিশকে জানান। তবুও হুমকি বন্ধ হয়নি। সবশেষে তিনি বাধ্য হয়েই জেলাশাসকের কাছে একটি স্মারকলি জমা দেন।সিরাজুল আরও জানান, তিনি গ্রাম থেকে লুকিয়ে জেলাশাসকের দফতরে গিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি আতঙ্কে রয়েছেন। যে কোনও মুহূর্তে তাঁকে আক্রান্ত করা হতে পারে। গোটা বিষয় নিয়ে যদিও এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও প্রকার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।