মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। সামনেই উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই অবস্থায় মাইক বাজানো নিষিদ্ধ। কিন্তু কে শোনে কার কথা! তারমধ্যে তিনি যদি শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। সেই ঘটনাই ঘটেছে কোচবিহারের দিনহাটায়। মাইক বাজানোর প্রতিবাদ করায় এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। নাম জড়িয়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও। ঘটনা কোচবিহারের দিনহাটার ওকড়াবাড়ির কাউরাই এলাকায়। তা নিয়েই চাঞ্চল্য এলাকায়। চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলেও। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। জানা গেছে, আহত ছাত্রীর নাম তাসলিমা খাতুন। শনিবার রাতে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বর্তমানে ওই ছাত্রী দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগের তীর পিংকু খন্দকার নামে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে।
এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ছাত্রীর অভিযোগ, ওই তৃণমূল কর্মী ইচ্ছা করেই উচ্চগ্রামে মাইক বাজাচ্ছিলেন। পরীক্ষা আছে, সে কথা বললেও কোনও পাত্তা দেওয়া হয়নি। শেষে প্রতিবাদ করাতেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন পিংকু। ধারল অস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসে, মারার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। বাড়ির লোকেরা একজোট হলে শেষে পিছু হটেন ওই তৃণমূল কর্মী। অসুস্থ অবস্থায় তাসলিমাকে হাসপাতালে নিয়ে ছোটেন পরিবারের সদস্যরা। এমন অবস্থা শুধুই দিনহাটায় নয়, সারা বাংলাতেই চলেছে। সবটা হয়তো খবরে আসে না। হতাশ বাঙালি।