বকেয়া ৩৪ এর জায়গায় মাত্র ৪ শতাংশ মহার্ঘভাতে ঘোষণা করে বিপুল সমালোচনার মুখে রাজ্য সরকার। সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই আগেভাগেই আরও মহার্ঘভাতার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার রাজ্য বাজেট পেশের পরেই তিনি সাংবাদিকদের জানান, কেন্দ্রীয় সরকার শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়, ভোট মিটলেও সেগুলি করা হয় না। ভোটের দিকে তাকিয়ে বাজেট করে না। সীমিত ক্ষমতার মধ্যে থেকে সার্বিক উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। অন্যদিকে ডিএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যতটা সম্ভব করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সার্ভিস রুল আলদা। পে কমিশনের টাকাটাও রাজ্য দেয় বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। শুধু তাই নয়, তাঁর কথায়, এবার যে শেষ তা তো নয়, অবস্থা অনুযায়ী আগামিদিনেও ফের দেওয়া হবে মন্তব্য।
ভোট যে বড়ো বালাই। তাই ‘২৬ এর ভোটের আগে আরও একবার মহার্ঘভাতা ঘোষণা হতে চলেছে বলেই অনেকের ধারণা। বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মন পাওয়ার চেষ্টা! চার শতাংশ বাড়ানো হল ডিএ ওরফে মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance)। ডিএ বেড়ে হল ১৮ শতাংশ। ২০২৫ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে নতুন হারে ডিএ। রাজ্যের বাজেটে ডিএ বাড়ানোর প্রস্তাব রাখলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাই নাগরিক মহলের ধারণা, এই বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে আরও একবার ঘোষণা হতে চলেছে আরও কিছুটা মহার্ঘভাতা। রাজ্য সরকারী কর্মচারী ও তাদের পরিবারের মানুষদের ধরলে সংখ্যাটা নিতান্ত কম নয়। তাই আরেকবার মহার্ঘভাতা ঘোষণা না করে উপায় নেই মুখ্যমন্ত্রীর।