যাত্রা শুরু হয়েছিল বাম আমলেই। কিন্তু ততটা সাফল্য তখন আসে নি। তারপরে অবশ্য গঙ্গায় অনেক জল প্রবাহিত হয়েছে। এবার আবার নতুন যাত্রা, নতুন পথ। ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে ইনফোসিস জানিয়েছিল যে তারা কলকাতায় একটি সফটওয়্যার উন্নয়ন কেন্দ্র তৈরি করতে চায়। এই সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের শিলান্যাস করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্থা কলকাতার নিউটাউনে ৫০ একর জমি নিয়েছে এবং এখানে প্রাথমিক ভাবে ১০০০ জন ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে। মধ্যে কোভিদের কারণে এতটা দেরি হয়ে গেলো। তা নাহলো আরও অনেক আগেই এই উদ্বোধন হয়ে যেতো।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুরু হয়েছিল তথ্য প্রযুক্তির নতুন যাত্রা। বিগত কয়েক মাস ধরে রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা আইটি সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করছে যাতে বাংলার সিলিকন ভ্যালিতে তাদের প্রকল্পগুলি দ্রুত শেষ করা যায়। কোভিডের পরবর্তীকালে রাজ্যে আইটি ও টেলিকম সংস্থাগুলি বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। যার ফলে রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখ দিয়েছে।রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১১ সালে ১৮ নভেম্বর নিউটাউনে প্রথম জমি পায় ইনফোসিস। ৭৫ কোটি টাকার বিনিময়ে ৫০ একর জমি পায় এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দশ মিনিটের দূরত্বে নিউটাউন ইকো পার্কের ৪ ও ৫ নম্বর গেটের উল্টোদিকে ২০০ একর জমির উপর বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। ২০১৮ সালের ১৩ অগাস্ট এই ভ্যালির উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রয়োজনে উইপ্রো, ইনফোসিসকে আরও জমি দেব, কিন্তু দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে অবশেষে কাজ শুরু করে ইনফোসিস।