সারা বাংলা জুড়ে একদিকে সন্ত্রাসবাদীদের রমরমা ও অন্যদিকে দুষ্কৃতীদের হাতে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। সব মিলিয়ে বাংলা মোটেই শান্তিতে নেই। এই অবস্থাতেই আবার মুর্শিদাবাদে শনিবার গভীর রাতে চললো গুলি। জানা যাচ্ছে, শনিবার মাঝরাতে তৃণমূল যুব নেতা পাপাই ঘোষ নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি করে বহরমপুর শহরের সৈদাবাদ এলাকায় বাড়ি ফেরার সময় কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে দু’রাউন্ড গুলি চালায়। যুবনেতা প্রাণে বেঁচে গেলেও, গুলির আঘাতে চৌচির হয়ে যায় তাঁর গাড়ির কাঁচ। বহরমপুর শহরের কাশিমবাজার রিংরোড সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল নেতার উপর হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। স্বাভাবিক কারণেই প্রবল ত্রাসের মধ্যে আছেন ও পাপাই ঘোষ। গুলি চালানোর ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত এলাকায় পৌঁছয় বহরমপুর থানার পুলিশ। যদিও সেই সময় এলাকায় তারা কাউকে খুঁজে পায়নি।
দ্রুত এলাকায় ছুটে আসেন বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারা তদন্ত শুরু করেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই গাড়ির মধ্যে বুলেট বিঁধে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বুলেটের ফাঁকা খোল। প্রসঙ্গত, ঐ তৃণমূল নেতার স্ত্রী সুষমা ঘোষ বহরমপুর লাগোয়া মনীন্দ্রনগর পঞ্চায়েতের প্রধান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , তৃণমূল নেতার একাধিক ব্যবসা রয়েছে এবং তিনি বহরমপুর পুরসভা সহ বিভিন্ন এলাকায় কনট্রাক্টরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। যদিও ঐ তৃণমূল নেতা দাবি করেছেন রাজনৈতিক কারণেই তাঁর উপর এই হামলা। তবে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কথা তিনি বলেন নি। ঘটনায় আতঙ্কিত নেতার বক্তব্য, ‘আমার সঙ্গে সবসময় একজন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। গতকালকে রাতে আমি তাকে একটি জায়গায় নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময় আমার সঙ্গে গাড়িতে দু’জন ছিলেন । প্রতিদিনই আমি বাইক নিয়ে নিজের এলাকায় ঘুরে বেড়াই। কিন্তু এর আগে আমার সঙ্গে কখনও এরকম ঘটনা ঘটেনি। কী কারনে এই হামলা বুঝতে পারছি না।’ পুলিশ এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।