‘নিয়োগ দুর্নীতি’ শব্দটা তো এখন মানুষের মুখে মুখে। সরকারি চাকরি যোগ্য ছেলে-মেয়েরা তো আর পায় না, চাকরি কিনতে হয়। তা সে শিক্ষক হোক, পৌরসভা হোক, বন দফতর হোক – সব জায়গায় একই অভিযোগ। কিন্তু এতদিন সেই অভিযোগে কাঠগড়ায় ছিল তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা। এবার সামনে আসলো নন্দীগ্রামে এক বিজেপি নেতার নাম। বিজেপি পরিচালিত সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আশিস মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল। অমিয়ো মাইতি নামে ওই বৃদ্ধ শিক্ষকের দাবি, ২০১৯ সালে আশিস মণ্ডল ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই মতো বেশ কয়েক দফা মিলিয়ে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা নেয় উপপ্রধান আশীস মণ্ডল বলে অভিযোগ শিক্ষকের। পরবর্তীকালে চাকরি তো হয়নি। তারপর আট লক্ষ টাকা আর ফেরতও দেননি ওই বিজেপি নেতা। বাধ্য হয়ে তিনি নন্দীগ্রাম থানার দারস্থ হলেন ওই বৃদ্ধ শিক্ষক। স্বাভাবিক কারণেই এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জমা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের।
যিনি ঘুষ দিয়েছেন, তিনি অন্যায় করেছেন – এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু একটা বিষয় যখন প্রায় প্রমাণিত এখানে সরকারি চাকরি কিনে নিতে হয়, তখন অভিভাবকেরাও থাকেন দুশ্চিন্তায়। অমিয় মাইতি বলেন, “আমার ছেলেকে চাকরি করে দেওয়ার জন্য আট লক্ষ টাকা দিয়েছি। তার মধ্যে এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা ক্যাশ দিয়েছি। বাকি চেকের মাধ্যমে দিয়েছি। আমি আশীসের মামার ছেলে তাপস প্রামাণিককে পড়াতে যেতাম। সেই সাপেক্ষে পরিচয়। আশীস সেই সুযোগে তাপসকে নিয়ে এসে ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।” যদিও, এই বিষয়ে অভিযুক্ত আশীসের দাবি, রাজনৈতিক ভাবে তাঁকে কোণঠাসা করতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যোগ সাজস করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সদস্য সুদীপ দাস বলেন, “প্রকৃত দোষী হলে দল অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”