মধ্য প্রাচ্যের ছোট্ট দেশ কুয়েত। প্রধানত তেল ব্যবসার উপরেই তাদের অর্থনীতি নির্ভর করে। ইন্দিরা গান্ধীর পরে মোদী শনিবার রওনা দিলেন সেই কুয়েতের উদ্দেশ্যে। মধ্যে ৪৩ বছর ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী কুয়েত সফর করেন নি। তাঁর এই সফরকে নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অন্য মাত্রা পাবে বলেও আশাবাদী নয়াদিল্লি। কুয়েতে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া থেকে ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন-সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে মোদির। আজ শনিবার সকালে কুয়েতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মোদি। তাঁর এই সফর দুদিনে। আছে একাধিক অনুষ্ঠান। কুয়েতে আছেন এমন ভারতীয়দের সঙ্গে এক আলোচনায় মিলিত হবার সম্ভাবনা আছে বলে জানা যাচ্ছে।
বিদেশমন্ত্রকের সেক্রেটারি অরুণকুমার চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুয়েত সফর ঐতিহাসিক। এর মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব গতি পাবে। ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, শিল্প, কর্মসংস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করবেন। ফলে ভবিষ্যতে ভারত-কুয়েতের বন্ধন আরও মজবুত হবে।জানা গিয়েছে, আজ থেকেই মোদির ঠাসা কর্মসূচির সূচনা হবে। কুয়েতের আমিরশেখ মেশাল আল-আহমাদ আল-জাবের-আল-সাবাহের সঙ্গে দেখা করবেন নমো। বৈঠকে বসবেন কুয়েতের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এই ঐতিহাসিক সফর নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত মোদি।