Travonews.in

ক্যাপসিকমের ম্যাজিক – শরীর থাকবে তরতাজা

 

এখনো বাঙালির পাতে সেভাবে ক্যাপসিকাম আসে নি। মাঝেমধ্যে চিলি চিকেন বা ফ্রাইড রাইসের ক্ষেত্রে হয়তো ক্যাপসিকমের ব্যবহার হয়। কিন্তু পুষ্টিতত্ত্ববিদেরা বলছেন,দ্রুত ক্যাপসিকমের ব্যবহার বাড়াতে হবে। কারণ এই সবজি বহু রোগ বিনাশক। এতে আছে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। তাই দেহের একাধিক অঙ্গের উন্নতিসাধনে বিশেষ ভূমিকা নেয় ক্যাপসিকাম। ক্যাপসিকাম –

১) মেদ ঝরায় – ঝট করে ওজন কমাতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে ক্যাপসিকাম। এই সবজি শরীরে বিপাকের হার বাড়িয়ে দেয়। ফলে দ্রুত গতিতে কমতে থাকে ওজন। তাই ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই ক্যাপসিকাম খান। এতেই উপকার পাবেন।

২) অ্যানিমিয়া দূর করে​ –
একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, এই সবজিতে উপস্থিত রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন অন্ত্রকে আয়রন শোষণে সাহায্য করে। আর দেহে আয়রনের ঘাটতি মিটলেই অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যা দূর হয়ে যায়। তাই রক্তাল্পতায় আক্রান্তরা নিয়মিত ক্যাপসিকাম খান।

৩) দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় – এখন বাচ্চাদের চোখেও মোটা কাচের চশমা ঝোলে। আর এর পিছনে কিছুটা হলেও দায়ী আধুনিক সভ্যতা। সবসময় মোবাইল, ল্যাপটপের স্ত্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখে পাওয়ার আসা স্বাভাবিক।এক পরিস্থিতিতে এমন কিছু খাবার খেতে হবে যা চোখের সমস্যা দূর করে। আর এই তালিকায় রয়েছে ক্যাপসিকামের নাম। এই সবজিতে রয়েছে লিউটিন ও জিয়াজ্যানথিন। এই দুই ক্যারোটিনয়েড চোখের জন্য ভীষণই উপকারী।

৪) ক্যান্সার প্রতিরোধক – ক্যানসারের মতো মারণ অসুখের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করা দরকার। আর এই কাজে আপনার ব্রহ্মাস্ত্র হতে পারে ক্যাপসিকাম। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই সবজিতে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদানের ভাণ্ডার। এই সকল উপাদানগুলি দেহে প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে। এমনকী ক্যানসার সেলের বৃদ্ধিও রুখে দিতে পারে।

৫) হাড় শক্ত হয়​ – এখন তো বয়স ৩০ পেরনোর পরই হাড়ের ক্ষয় প্রায় নিশ্চিত। এক্ষেত্রে ব্যথা, ফোলার মতো জটিলতায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তবে চিন্তা নেই মশাই, এই সমস্যা সমাধানেও কাজে আসতে পারে ক্যাপসিকাম। এই সবজিতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ। এই খনিজ হাড়, কার্টিলেজ, বোন কোলাজেনের গঠনকাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এতে উপস্থিত ভিটামিন কে হাড়ের জোর বাড়ায়।

Picture of ট্রাভো নিউজ
ট্রাভো নিউজ