আমরা সাধারণভাবে প্রায় সমস্ত ফলের বীজ ফেলে দিই। কিন্তু আমরা জানিনা কাঁঠালের বীজে আছে প্রচুর খাদ্যগুণ। কাঁঠালের বীজ খেলে অনেক উপকার।যেমন-
১) কাঁঠালের বীজ খেলে মানসিক চাপ কমে, কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস।
২) এই বীজে ভরপুর মাত্রায় লোহা থাকে, যা হিমোগ্লোবিনের অন্যতম উপাদান। রক্তাল্পতা থাকলে আয়রন সমৃদ্ধ ডায়েটের জন্য পুষ্টিবিদরাও কাঁঠাল বীজ খেতে বলেন।
৩) কাঁঠাল বীজে ভিটামিন এ থাকে। তাই দৃষ্টি স্বচ্ছ রাখতে এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে এই বীজ রাখা যেতেই পারে ডায়েটে।
৪) যাঁরা নিরামিষ খান তাঁদের পক্ষে মাছ-মাংস থেকে প্রোটিন পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। কাঁঠাল বীজ সে ক্ষেত্রে ডায়েটে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এটি পেশির শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। নিয়মিত যাঁরা জিমে যান, তাঁদের ডায়েটে এই বীজ রাখা যেতে পারে।
৫) কাঁঠালের বীজ রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিলে সেটি নিয়মিত খেলে গ্যাস-অম্বলের আশঙ্কা কমে। এ ছাড়া কাঁঠাল বীজে প্রিবায়োটিক থাকে। এগুলি শরীরে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়ায়।
তবে কাঁঠালের বীজ খাবার কিছু বিধি আছে।
১) রোদে শুকিয়ে নিয়ে ছোট ছোট করে কেটে ঘিয়ে রোস্ট করে নুন, গোলমরিচ দিয়ে খাওয়া যায়।
২) রোদে শুকিয়ে নিয়ে তার পর সেদ্ধ করে তেল লঙ্কা দিয়ে মেখে খাওয়া যায়।
৩) আর পাঁচটা সব্জির মতোই তরকারি বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন নিরামিষ তরকারির মধ্যে দিলেও খেতে ভাল লাগে।
৪) যে কোনও ঝোলে ব্যবহার করতে পারেন।
তাই এই সময়ে সহজে পাওয়া কাঁঠালের বীজ না ফেলে রান্নায় দিন।