বাংলার মাটি, জল ও বাতাসের ভালোবাসায় বেড়ে ওঠে একাধিক উপাকরী সব ফল, শাক ও সবজি। আর এই সকল খাবারগুলিকে নিয়মিত পাতে রাখতে পারলেই কেল্লাফতে। একাধিক কঠিন অসুখকে সহজেই হারিয়ে দেওয়া যাবে।
আপনার অবহেলার পাত্র লাল শাকও কিন্তু পুষ্টির খনি। নিয়মিত এই শাক পাতে রাখলেও মিলবে একাধিক চোখ ধাঁধানো উপকার। তাই আর দেরি না করে লাল শাকের একাধিক উপকার সম্পর্কে জেনে নিন।
১) কোলেস্টেরলের যম –
রক্তে উপস্থিত মোম জাতীয় উপাদান হল কোলেস্টেরল। রক্তে এই উপাদানের পরিমাণ বাড়লেই তা রক্তনালীর ভিতর জমে। আর এই কারণেই স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যহত হয়। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক সহ একাধিক অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই চিকিৎসকরা বারবার খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে লাল শাক।
২) হজমের সমস্যা দূর করে –
আমাদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং বদহজমের মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন।
পেটের অসুখকে গোড়া থেকে উৎপাটন করতে চাইলে নিয়মিত লাল শাক খান। আসলে এই শাকে রয়েছে ফাইবারের প্রাচুর্য যা কিনা হজমের সমস্যা কমানোর কাজে আপনার হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
৩) হাড় হবে শক্তপোক্ত –
হাড়ের খেয়াল রাখতে চাইলে আপনার ডায়েটে ক্যালশিয়াম যুক্ত খাবার থাকাটা মাস্ট। আর দেহে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি মেটাতে লাল শাক পাতে রাখতেই পারেন। আসলে এই শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম। ফলে হাড় শক্তপোক্ত করার কাজে লাল শাকের বিকল্প খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন কাজ।
৪) দৃষ্টিশক্তি বাড়াবে – লাল শাকে রয়েছে ভিটামিন এ-এর ভাণ্ডার। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দিনে মাত্র এক কাপ এই শাক খেলেই ভিটামিন এ-এর দৈনিক চাহিদার ৯৭ শতাংশ মিটে যায়। আর এই ভিটামিন যে চোখের স্বাস্থ্য রক্ষার কাজে অত্যন্ত উপকারী তা নিশ্চয়ই জানেন। তাই দৃষ্টিশক্তির খেয়াল রাখতে চাইলে এবং বয়সকালে ছানির সমস্যাকে ‘ডজ’ করতে চাইলে এই শাক পাতে রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৫) প্রেশার নিয়ন্ত্রণের মহৌষধি – লাল শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম। আর এই খনিজ কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের কাজটি একা হাতে সামলে নিতে সক্ষম। তাই হাই প্রেশারের রোগীরা নিয়মিত পাতে লাল শাকের বিভিন্ন পদ রাখার চেষ্টা করুন। অই নিয়মটি মানলে শুধু প্রেশারই কমবে না, সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।