মালদোভা একসময় বৃহত্তর সোভিয়েত রাশিয়ার অন্তর্গত ছিল, যেমন ছিল ইউক্রেন। ইউক্রেনের বেশ কিছুটা অংশ ইতিমধ্যে রাশিয়া অধিকার করে নিয়েছে। এবার কি সেই ছোট্ট সুন্দর মালদোভার দিকে পুতিনের লক্ষ? এটি দখলে নেওয়ার প্রস্তুতিও নাকি তলায় তলায় শুরু করে দিয়েছেন পুতিন। এমনই রিপোর্ট প্রকাশিতও হয়েছে পশ্চিমি এক সংবাদমাধ্যমে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সে দেশ থেকে প্রচুর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে মলদোভায় আশ্রয় নিয়েছে। মাত্র ২৬ লাখ জনসংখ্যার পূর্ব ইউরোপের ছোট্ট দেশটি বছর কয়েক আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার আবেদন করে। তাতেও ক্ষুব্ধ রাশিয়া। সেই থেকেই পুতিনের নজর মালদোভার দিকে। রাশিয়ার ঔপনিবেশিক মানসিকতা আবার কি জেগে উঠেছে?
আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের ধারণা রাশিয়া চাইছে ওই দেশকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করতে। মলদোভা দেশটির ভিতরে অবশ্য একটা বড় অংশের মানুষের রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও সমর্থন রয়েছে। মস্কোপন্থী অঞ্চল ত্রান্সনিসত্রিয়া নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তাতেই রয়েছে দেশটির সরকার। যেখানে প্রায় দেড় হাজার রুশ সেনা ঘাঁটিও গেড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইউরোপের অন্যতম গরিব দেশ মলদোভাকে ইউক্রেনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষার বড় খেসারত দিতে হচ্ছে। দেশটির বর্তমান ইইউপন্থী সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের চক্রান্ত করছে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও সম্প্রতি বলেন, মলদোভাকে ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছে রাশিয়া। কিয়েভের গোয়েন্দা সংস্থা এ তথ্য পেয়েছে। সরকারি ভবনে হামলা এবং মলদোভার বর্তমান সরকারের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে বন্দি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। সেই সঙ্গে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ এবং বেসামরিক লোকের ছদ্মবেশে সামরিক ব্যক্তির ওপর হামলারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান।