‘আমার শিশু খেতে চায় না’ – এটা মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের কেমন অভিযোগ। শিশু বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত এই অভিযোগ শুনে থাকেন। শিশুদের স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় সম্প্রতি পুষ্টিতত্ত্ববিদেরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী —
১) সকালের জলখাবার কখনোই এড়িয়ে যাবেন না। এটি শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের বা যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্যই নয়, শিশুদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। রাতের পরে সকালে একটা স্বাস্থ্যকর জলখাবার শিশুর সারাদিনের ক্ষুধাকে তরান্বিত করে।
২) শিশুদের আয়রনের মাত্রার দিকে নজর রাখুন। আয়রনের ঘাটতি থাকলে শিশুর ক্ষুধা কমে যায়। তাই শিশুর ক্ষুধা বাড়াতে তার খাদ্যতালিকায় আয়রনসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। আয়রনসমৃদ্ধ খাবার; যেমন—পালংশাক, ডিম ও মসুর ডাল রাখতে পারেন।
৩) এক গ্লাস জল দিয়ে আপনার শিশুর দিন শুরু করুন। এ ছাড়া অন্যান্য সময়েও খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট আগে তাদের জল পান করান। এই মৌলিক বিষয়গুলো দারুণ কাজ করে। জল হজমের রস এবং এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে, যা ক্ষুধা বাড়ায় এবং হজমশক্তি বাড়ায়।
৪) শিশুদের খাদ্যতালিকায় জিংকসমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। জিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এবং এটি অনেক শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য প্রয়োজন। শিশুদের ক্ষুধা হ্রাস, ওজন হ্রাস, ডায়রিয়া এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই শিশুর ক্ষুধা বাড়াতে আপনার শিশুর খাদ্যতালিকায় জিংকসমৃদ্ধ খাবার; যেমন—কুমড়ার বীজ, বাদাম, পালংশাক, মটরশুঁটি ও মাশরুম যোগ করতে পারেন।
৫) প্রতি দুই ঘণ্টায় শিশুদের খাবার দিন। শিশুদের সারা দিন পড়াশোনা এবং খেলাধুলা করার জন্য শক্তি প্রয়োজন। আপনার শিশু যদি ক্ষুধার্ত না হয় বা খেতে না চায়, তাহলে প্রতি দুই ঘণ্টা পর তাকে ছোট স্ন্যাকস খাওয়ান। তিন বেলার বড় খাবার ওদের সাহায্য না-ও করতে পারে। তাই তাদের ক্ষুধা উদ্দীপিত করতে বা বাড়াতে প্রতি দুই ঘণ্টায় তাদের ছোট আকারে স্ন্যাকস দিন।