মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে একসঙ্গে কম্পন অনুভূত হয় পাঁচটি দেশে। নেপালে উৎসস্থল হওয়ায় কেঁপে ওঠে ভারত, ভুটান, চিন, বাংলাদেশও। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পের জেরে তিব্বত এলাকায় কমপক্ষে ৫৩ জন মারা গিয়েছেন। চিনের জিনহুয়া সংবাদসংস্থা আবার জানিয়েছে, ভূমিকম্পের জেরে জখম হয়েছেন ৬২ জন। উপকেন্দ্রের কাছেই ভেঙে পড়েছে একাধিক ঘরবাড়ি। সংবাদসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের তরফে দাবি, শুধু পশ্চিম চিনেই ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিকম্পের জেরে। তবে ঠিক নেপালে কতটা ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে তার বিস্তারিত খবর এখনও নেই।
নেপালের সীমান্তের কাছে তিব্বতে লোবুচে পর্বতের ৯৩ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে হিমালয়ে ভূমিকম্পের উৎসস্থল। রিখটার স্কেলে সর্বোচ্চ কম্পনের মাত্রা ৭.১। উত্তর ভারতজুড়ে এদিন কম্পন অনুভূত হয়েছে। আতঙ্কের সঙ্গে ঘুম ভাঙে দিল্লি থেকে কলকাতার। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানানো হয়েছে, নেপাল-তিব্বত সীমানার কাছে শিজাং এলাকায় সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে সর্বপ্রথম ৭.১ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছিল। এরপর যথাক্রমে ৪.৭ ও ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। চিনের প্রশাসন জানিয়েছে, ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিগাটসে-তে। জানা গিয়েছে, ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের উৎসস্থল। শীতের সকালে ঘুম চোখে অনেকেই টের পাননি কম্পন। তবে জানা গিয়েছে, এরাজ্যে উত্তরবঙ্গে পরপর ২ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে। কলকাতাতেও বহুতল ছেড়ে আতঙ্কে নিচে নেমে আসেন অনেকে। মূলত ভারতীয় ও ইউরেশীয় প্লেটের সংঘর্ষে ভূমিকম্পের উৎসস্থল। হিমালয়ের নিচে অবস্থিত টেকটনিক প্লেট উপরে উঠে গিয়েই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় তিব্বত ও চিনে।