মুহূর্তে দূর হবে মুখের ক্লান্তিভাব

মানুষ এখন খুবই কর্মব্যস্ত। সারাদিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। তারপর বিকেলে তার সারা শরীর সহ মুখে পড়ে সেই ক্লান্তির ছাপ। সেই ক্লান্তির ছাপ দূর করার কয়েকটি সহজ টিপস দিচ্ছেন  বিশেষজ্ঞরা।  তাঁরা বলছেন,ফেসিয়াল স্প্রে ব্যবহার করলে দ্রুত দূর হবে মুখের ক্লান্তিভাব। তবে বাজারে কিনতে পাওয়া সেই স্প্রের অনেক সাইড এফেক্ট আছে। এতে চামড়ার ক্ষতি হয়। তাই নিজের বাড়িতে বানিয়ে নি ওই ফেসিয়াল স্প্রে।    তিন কাপ জল ফুটিয়ে আধা কাপ পুদিনাপাতা দিন। তারপর জল গ্যাস থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এবার একমুঠো গোলাপের পাঁপড়ি যোগ করে আরও ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। জল শুকিয়ে অর্ধেক হলে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। সব শেষে ছেকে স্প্রে বোতলে ঢেলে আধা চামচ লেবুর রস ও কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল মিশিয়ে মুখ বন্ধ করে ঝাঁকিয়ে নিন। এতেই আপনি হয়ে উঠবেন তরতাজা।

ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ফুচকা খেতে পারেন

‘ফুচকা’ শব্দটা শুনলেই জিভে জল আসে প্রায় সকলের। কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ফুচকা খেতে ভয় পান। ভয়ের কিছু কারণ হয়তো আছে। কারণ ফুচকা স্ট্রিট ফুড। ফলে কতটা হাইজিনিক তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে এখন স্ট্রিট ফুডের চাহিদা প্রচুর। মানুষ খাচ্ছেও। এবার প্রশ্ন ফুচকা খেলে কি ওজন কমে? কবিরাজি মতে ‘টক’ ওজন কমায় ও ‘মিষ্টি’ ওজন বাড়ায়। ট্রেডিশনাল ফুচকাতে থাকে তেঁতুল জল। তেঁতুল মানুষের ওজন কমায় – এটা কবিরাজি সিদ্ধান্ত। এবার আসল কথা। কঠিন ডায়েট চলাকালীন অনেকেই ফুচকা এড়িয়ে চলেন। যেহেতু ফুচকায় প্রচুর মশলা রয়েছে তাই একে ওজন বর্ধক হিসাবেই ধরা হয়। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ফুচকা খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম একটি হল ওজন কমানো। দ্রুত ওজন ঝরাতে চাইলে, ফুচকা খাওয়া যেতেই পারে। যেহেতু ফুচকার জল টক ও মশলাদার, তাই এটি খিদে কমাতে সাহায্য করে যা অবশেষে ওজন হ্রাসের জন্য সাহায্য করে। এখনকার ফুচকায় থাকে পুদিনার জল। দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখা পুদিনার গুণ। ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে সুবিধে হয়। এছাড়া যে কোনওরকম টকজলই ওজন কমাতে পারে। আমরা অনেকেই জানি না পুদিনাপাতার এত গুণ যে বছরভরই খাওয়া যায়। বিশেষ করে ডিটক্স ওয়াটারের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ পুদিনাপাতা। ডায়েটিশিয়ানরা ক্লান্তি কমাতে এবং ওজন কমানোর জন্য ঘরে তৈরি ফুচকার পরামর্শ দেন। বাড়িতে ফুচকা বানানোর একটা সুবিধা হল এটি কম তেলে ভাজা যায়। অতিরিক্ত স্বাস্থ্য উপকারের জন্য ফুচকার সঙ্গে জিরা বা জল জিরার জলও ব্যবহার করা যেতে পারে।

পেঁপে রোজ খান – নিজেকে রক্ষা করুন

  ‘পেঁপে’ কাঁচা অবস্থায় সবজি ও পেকে গেলে ফল।দুটোই মানব দেহের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।তবে এ বিশ্বে এমন কিছু নেই,যা শুধু  উপকার করে।পেঁপের ক্ষেত্রেও কিছু বিধিবিষেধ আছে।গবেষকেরা বলছেন,কাঁচা পেঁপে সামান্য খাওয়া যেতে পারে কিন্তু বেশি খাওয়া একদম উচিত নয়।খেতে হবে সেদ্ধ করে/রান্না করে।পেঁপে কাঁচা খেলে এলার্জি বেড়ে যেতে পারে।গর্ভবতী মহিলাদের পেঁপে বেশি না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র।পাকা পেঁপের বীজ যথেষ্ট বিষাক্ত।তাই কোনো কারণে ভুল করে তা খাবেন না   ১০০ গ্রাম পেঁপেতে আছে  ৩৯ ক্যালরি ।এ ছাড়া আছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আঁশ, ভিটামিন এ,বি,সি,ডি । এছাড়া পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ও অ্যালবুমিন এনজাইম থাকে পেঁপেতে। পেঁপে অনেক রোগ সারাতে কার্যকর, এটা শত শত বছর ধরেই স্বীকৃত। হজমের জন্য এই ফল খুবই উপকারি।    ফলে এই ফল বা এই সবজি  লিভার ও ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখে, অন্ত্রের ক্ষতিকর উপাদান দূর করে। পেঁপে খেলে শরীর সতেজ হয় ও জীবনী শক্তি ফিরে পাওয়া যায়। পাকস্থলীর অতিরিক্তি এসিড দূর করে, তাই যারা গ্যাস্ট্রিক ও বুক জ্বালায় ভুগছেন, তাদের জন্য পেঁপে খুব উপকারি।বাড়ন্ত শিশুর জন্য পেঁপে একটি আদর্শ খাবার। পেঁপের আরো উপকারিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।    জাপানের একটি গবেষণার রিভিউ পত্রে প্রকাশ পেয়েছে, কাঁচা বা পাকা পেঁপে –  ১) শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।  ২) পেঁপেতে থাকা কাইমোপ্যাপিন আর্থরাইটিস প্রতিরোধ করে।  ৩) কোষ্ঠিকাঠিন্য দূর করে।  ৪) দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়।  ৫) পেঁপেতে থাকা প্যাপিন শরীরের বিভিন্ন যন্ত্রনা দূর করতে সাহায্য করে।    সামগ্রিকভাবে পেঁপে একটা অত্যন্ত উপকারী ফল ও সবজি।তাই প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় অল্প করে পেঁপে রাখুন।

‘কুদরি’ -অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি সবজি

সাধারণত বর্ষাকালের কুদরি পাওয়া যায়। তবে কুদরি বাঙালির হেঁসেলে সেভাবে সমাদৃত নয়। কিন্তু এতে আছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। সহজলভ্য উপকারী গুণে ভরপুর কুঁদরি। সারা বছর কমবেশি পাওয়া গেলেও বর্ষায় এর ফলন বেশি হয়। কুঁদরি কোথাও কোথাও তরুলি নামেও পরিচিত। আকারে এই সবজি ক্ষুদ্র হলেও গুণে বৃহৎ। তার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন উপকারী গুণ। কুঁদরি খেলে দেহের ক্লান্তিভাব এবং দুর্বলতা কম হয়। স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি উপকারী হার্ট ভাল রাখতে কুঁদরি দারুন উপকারি। তাই এই সময় হেঁসেলে কুদরি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা।   এই সবজিতে ফ্ল্যাভোনয়েড পাওয়া যায়, যা প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যুক্ত। কুঁদরিতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। এই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার পাচনতন্ত্রের পক্ষে দারুণ উপকারী। এই ফাইবার যুক্ত সবজি মল নরম করতে সাহায্য করে। পাইলস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ প্রতিরোধ করে। কুঁদরি মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কুঁদরি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। কুঁদরির মতো কুঁদরি গাছের পাতাও বেশ উপকারী। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে কুঁদরি পাতা দারুন কার্যকর। ঔষধি গুনের পাশাপাশি মানব দেহের ওজন কমাতে এই কুঁদরি দারুন কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আয়রনে সমৃদ্ধ কুঁদরি। ফলে মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য দারুন প্রয়োজনীয় এই সবজি। তাই রোজ না হলেও মাঝে মাঝে খাদ্য তালিকায় কুদরি রাখুন।

স্বাস্থ্য সংবাদ-ঋতু পরিবর্তনর সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি রোগে বাচ্চারা আক্রান্ত হয় – সাবধান করছেন চিকিৎসকেরা

বর্ষা বিদায় নিয়েছে। হেমন্তের সকালে বেশ ঠান্ডা বাতাস দিচ্ছে। বাংলার ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে। এই ঋতু পরিবর্তনের মুখে বাচ্চারাই ঘন ঘন শরীর খারাপে ভোগে। এই সময় কোন-কোন রোগের প্রকোপ বেশি এবং তার হাত থেকে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন কী ভাবে তার টিপস দিচ্ছেন কয়েকজন শিশু চিকিৎসক। তাঁরা বলছেন, এই ঋতু পরিবর্তনের মুখে, বিশেষত এমন বর্ষার পর বাচ্চাদের মধ্যে মূলত তিন ধরনের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এক, সর্দি-কাশি খুব কমন। শ্বাসজনিত সমস্যা, নিউমোনিয়া, ফুসফুসে সমস্যা দেখা দেয়। দুই, বৃষ্টির জল থেকে পেটের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। নোংরা জল থেকে হেপাটাইটিস, টাইফয়েড, জন্ডিস, পেট খারাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও হতে পারে স্ক্রাব টাইফাস ও ডেঙ্গি।

দিনে ১০ বারের বেশি মূত্র ত্যাগ কিন্তু কোনো জটিল রোগের ইঙ্গিত

 মূত্রত্যাগের মাধ্যমে মানুষের শরীরের অনেক বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায় বলেই মানুষ সুস্থ থাকে। কিন্তু কোনো কিছুই বেশি বাড়াবাড়ি তো ভালো না। মূত্রত্যাগের ক্ষেত্রেও তাই। দিনে দেড় লিটার জল পান করা স্বাভাবিক। আর সেক্ষেত্রে দিনে ৬/৭ বার মূত্রত্যাগটাও স্বাভাবিক। একটু হিসেব করে দেখতে হলে তার থেকে বেশি মূত্রত্যাগ আমাদের হচ্ছে কিনা! অন্তত দিনে যদি ১০ বারের বেশি মূত্রত্যাগ হয়,তা কিন্তু যথেষ্ট এলারমিং। সে ক্ষেত্রে শরীরের কোনো জটিল রোগের ইঙ্গিত বহন করে এটা। কি কি রোগের কারণে এমন হতে পারে?  ১) ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। আর এই রোগ যে কোনও বয়সের মানুষের যে কোনও সময়ই হতে পারে এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়াটাও এই রোগের লক্ষণ। ২) কিডনি বা ইউরেটিক স্টোন: বার বার প্রস্রাব হওয়া কিডনি স্টোনের উপসর্গ হতে পারে। কিডনিতে স্টোন হলে ঘন-ঘন প্রস্রাবের বেগ আসে। তাই এই সমস্যা দেখা দিলে ফেলে না-রেখে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।  ৩) ইউটিআই (ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন): এই সংক্রমণ মহিলাদের মধ্যে বেশ সাধারণ। কিন্তু এই রোগ পুরুষদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে। এই সংক্রমণের একটি লক্ষণ হল ঘন ঘন প্রস্রাব। এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালা অনুভব করা। সেই ক্ষেত্রে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

খাবারে রাখুন ‘সুজি’- বহু রোগ দূরে পালাবে

   সকালে বা বিকেলের জল খাবার হিসাবে অনেক পরিবারেই সুজি প্ৰচলিত আছে। তবে মিষ্টি বর্জিত নোনতা সুজি খেতে পারলে শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। প্রচুর গুণে ভরপুর সুজি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ওজন কমানো থেকে হার্টের স্বাস্থ্যের সবকিছুতেই খুব উপকারী। সুজি অনেক খাবারের প্রধান উপাদান হিসেবে ব‍্যবহার হয়। প্রচুর গুণে ভরপুর সুজি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ওজন কমানো থেকে হার্টের স্বাস্থ্যের সবকিছুতেই খুব উপকারী। এছাড়াও,একাধিক  ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট  পরামর্শ দেন সম্পূর্ণ গম থেকে তৈরি হওয়া সুজি যাতে উচ্চ ফাইবার আছে সেটি খাওয়া উচিত। তাই নিয়মিত সুজি খাওয়া অত্যন্ত দরকারি।   সুজি ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবারের একটি দারুণ উৎস। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফাইবারও রক্ত থাকা কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমায়। সুজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়। একই সময়ে, এটি খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। যা হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সুজি ওজন কমাতে সাহায‍্য করে। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সুজি থায়ামিন, ফোলেট এবং বি ভিটামিনের ভাল উৎস। সুজি খেলে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি থেকে। ফলে বেশি খিদে পায় না। এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। তাই খাদ্য তালিকায় নিয়মিত সুজি রাখুন ও সুস্থ থাকুন।

মানবদেহে ভিটামিন D3 র উপকারিতা 

কালো হয়ে যাবার ভয়ে গায়ে রোদ লাগাচ্ছেন না। কতটা বিপদ ডেকে আনছেন জানেন? শরীরে ভিটামিন D3 কম থাকলে ঝুঁকি বাড়ে করোনার। কিভাবে সতর্ক হবেন। ভিটামিন শরীরের জন্য কতটা প্রয়োজনীয় সেটা তো সকলেই জানেন। পেশী, হাড় সহ শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিত্যদিনের তালিকায় ভরপুর প্রোটিন, ভিটামিন রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। শরীরের জন্য জরুরি তেমনি এক ভিটামিন হলো ভিটামিন D3। এটিতে কেবল হাড় আর পেশির স্বাস্থ্য ভালো রাখে তা কিন্তু নয়। যেকোনো সংক্রমন ঠেকাতে ও শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে তুলতে এর বিরাট ভূমিকা রয়েছে। শুধু তাই নয় ভিটামিনে অভাবে যে করোনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, সেকথা অনেকেরই অজানা। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে  এমনি এক তথ্য। দেখা হয়েছে, ২০২০-২১ সালে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অধিকাংশের  শরীরের ভিটামিন D3র ঘাটতি ছিল। সুস্থদের সংক্রামন থেকে ভিটামিন D3 বেশি মাত্রায় পাওয়া গিয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যেসব করোনা রোগীকে ভিটামিন D3 সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়েছে তাদের অবস্থার অবনতি ঠেকানো গিয়েছে অনেক অংশেই। আর যারা সাপ্লিমেন্ট পান নি তারা ঢুকেছেন আইসিইউতে। ইংলন্ডের করা এক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমীক্ষায় গবেষণা আকারে প্রকাশিত হয়েছে সাইন্টিফিক রিসার্চ পাবলিকেশন জার্নালের সেপ্টেম্বর সংখ্যায়। করোনা রুগীদের ভোগান্তির নেপাথ্যে অনেকটাই দায়ী ভিটামিন D3। যেহেতু এই ভিটামিন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, তাই করোনা সময় অনেকের ক্ষেত্রেই ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে ভিটামিন D3।   এই ভিটামিনের কার্যকারিতা জানার আগে বরং জেনে নেওয়া যাক তার পরিচিতি। এটি এক ধরনের ভিটামিন D। রাসায়নিক নাম কোলিক্যালসিফেরোল। সূর্যালোক থেকে ত্বকএ এই ভিটামিন তৈরী হয়। সূর্যালোকে থাকে ১০ শতাংশ অতি বেগুনি রশমি। তারই প্রতিক্রিয়ায় এই ভিটামিন তৈরী হয়। এছাড়া খাবারেও পাওয়া যায় এই ভিটামিন। শরীরে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস শোষনের জন্য প্রয়োজন পরে এই ভিটামিনের। এছাড়াও ফুসফুস, হাড়, আগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রনের রাখে ভিটামিন D3। ফুসফুসের কর্ম ক্ষমতা ঠিক রাখতে ও সংক্রন ঠেকাতে সাহায্য করে এই ভিটামিন। ভিটামিন D3 শরীরে সঠিক মাত্রায় থাকলে টিবি, হাঁপানি, সিওপিডি আশাঙ্কা কমে। হার্ট ফেইলিওর, ইস্কিমিক হার্ট ডিজিজ, সাডেন কার্ডিয়াক ডেথের  আশাঙ্কা কমায় ভিটামিন D3। বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর হার কমাতে পারে এই ভিটামিনের সাপ্লিমেন্ট। ত্বকে নিয়মিত নির্দিষ্ট সময় ধরে রোদ লাগলে ভিটামিন D তৈরী  হয়। কিন্তু সমীক্ষা বলছে গরম ও কালো রঙ হয়ে যাওয়ার ভয়েই বেশিরভাগ মানুষই এখন রোদ থেকে গা বাঁচিয়ে চলেন। ফলে দিনে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট খোলা শরীরে রোদ লাগানো অনেকের ক্ষেত্রেই হয়ে ওঠে না। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ভিটামিন D3 তৈরী হয় না শরীরে। সেই কারণেই মেনুতে ভিটামিন D3 যোগ করতে বলছেন বিশেষজ্ঞারা। তৈলক্ত মাছ, ক্যানে ভরা টুনা, অতিরিক্ত ভিটামিন ডি মেশানো দুধ, সয়ামিল্ক, ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল, কমলা লেবুর রস, চিজ, ডিমের কুসুম, মাশরুম, কর্ড লিভার অয়েল ভিটামিন D3র ঘাটতি মেটায়ে অনেকটাই সাহায্য করে।

তেলাপিয়া মাছ কি মানব দেহের ক্ষতির কারণ হতে পারে?

তেলাপিয়া মাছকে মৎস্যচাষীরা সাধারণভাবে ‘গারভেজ মাছ’ বলে থাকে। এর থেকেই কিছুটা অনুমান করা যায় এই মাছ সম্পর্কে। তবে যদি সঠিকভাবে এই মাছের চাষ করা হয়, তাহলে তা যথেষ্ট ভালো। বিশেষজ্ঞদের মতে, তেলাপিয়ায় প্রোটিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-১২, ফসফরাসের মতো একাধিক অপরিহার্য উপাদান থাকে। জানা গেছে, বিশ্বের প্রায় ১২০টি দেশে সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয় এই মাছ।    কিন্তু সমস্যা হলো অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ে। বেশিরভাগ অসাধু ব্যবসায়ীরা এই মাছকে অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় বেড়ে তুলছে। ফলে পুষ্টির পরবর্তে এই মাছ খেলে শরীরে ঢুকছে নানা ক্ষতিকর পদার্থ। বর্তমানে নানা ধরনের রাসায়নিক দিয়ে চাষ করা তেলাপিয়া মাছ। এমনকি নানা দূষিত জিনিস খাবার হিসেবে দেওয়ার হয় মাছকে। একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, তেলাপিয়া উৎপাদনে ব্যবহৃত মাছেদের খাদ্য হিসেবে হাঁস, শূকর বা মুরগির দেহাবশেষ থাকে। এর ফলে তেলাপিয়া মাছের শরীরে জমা হচ্ছে অনেক বিষাক্ত উপাদান। তাই বেশিরভাগ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাছ খাওয়ার জন্য নিরাপদ নয়। যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় তা ক্যানসারের মতো ব্যাধির ঝুঁকি অনেক গুণে বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ ক্রেতার পক্ষে জানা সম্ভব নয়, কোন মাছগুলোকে সঠিকভাবে চাষ করা হয়েছে। তাই তেলাপিয়া বেশি না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা।

দাঁত সাদা করার ঘরোয়া টোটকা

দাঁত মানুষের মুখাবয়বের সৌন্দর্যের প্রকাশ। আমরা চাই দাঁত থাকবে ঝকঝকে সাদা। তারজন্য অনেক নামি-দামী পেস্ট ব্যবহার করি,কখনো ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিয়ে থাকি,কিন্তু ঠিক মনের মতো ঝকঝকে দাঁত পাই না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,দাঁত সাদা রাখার কিছু ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন –