ভারতীয় ক্রিকেটের মিডিল অর্ডারের একটা স্তম্ভ হয়ে উঠেছে শ্রেয়াস আইয়ার

ভারতীয় ক্রিকেট মানেই অনেকটা ব্যাট নির্ভর। আর এই মুহূর্তে মিডিল অর্ডারে চতুর্থ নম্বরের ব্যাটার হিসাবে শ্রেয়াস অপ্রতিদ্বন্দ্বি। তিরিশ বছরের শ্রেয়াস আইয়ার আঘার জানিত কারণে বার বার মাঠের বাইরে গেলেও নিজের দক্ষতায় আবার ফিরে এসেছে। খুব অল্প বয়সেই শ্রেয়াসের দক্ষতা ও রানের খিদে দেখে তার কোচ প্রবীর আমরে বুঝেছেন নেন যে খুব তাড়াতাড়ি সে জাতীয় দলে আসতে চলেছে। ২০১৪ সালে মুম্বাইয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে কেরিয়ার শুরু করার পরে তাকে আর ফিরে তাকাতে হয় নি পিছন দিকে। পরের বছর IPL ক্রিকেটে বড়ো ব্রেকাউট নিয়ে তিনি সকলের ‘নয়নের মণি’ হয়ে ওঠেন – যেখানে তিনি ১৪টি খেলায় ৫৩৯ রান করে শ্রেষ্ঠ উদিওমান খেলোয়াড়ের পুরস্কার ছিনিয়ে নেন। পরের কয়েক বছর শ্রেয়াসের ঘরোয়া ক্রিকেটে গড় রান ছিল লোভনীয় – ৫০ এর বেশি। এর পরেই আসে তার ক্রিকেট জীবনের নতুন অধ্যায়। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড T20 সিরিজ ও শ্রীলংকার ODI এর পারফমেন্স দেখে শ্রেয়াসকে ভারতীয় দলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি হয়ে ওঠেন ভারতীয় টিমের মিডিল অর্ডারের এক বিশেষ নির্ভরযোগ্য স্তম্ভ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিজেকে ৪ নম্বরে প্রতিষ্ঠা করে নেন। তখনই KKR তকে অধিনায়কের দায়িত্ব চাপিয়ে দেন। খুব স্বচ্ছন্দে সেই বোঝা কাঁধে নিয়ে এগিয়ে চলেন শ্রেয়াস। কিন্তু এর পরেই একের পর এক আঘাত তাকে গভীর সমস্যায় ফেলে দেয়। ফলে ২০২২ KKR এর হয়ে দারুন পারফর্ম করার পরেও ২০২৩ সালে তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হয়। তবে ২০২৩ তিনি নিজের যোগ্যতা দিয়ে ফিরে আসেন ICC বিশ্বকপে। সেখানে তার চোখ ধাঁধানো পারফর্ম সকলকে মুগ্ধ করে। সেমি ফাইনালে শতরান সহ মোট রান ছিল ৫৩০. বলার অপেক্ষা রাখে না যে ভারতকে সেমি ফাইনালে পৌঁছে দিতে তার ছিল একটা বড়ো ভূমিকা। গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে প্রথমবার কলকাতা এসে অধিনায়ক হিসাবে ক্রিকেট প্রেমীদের মন সহজেই জয় করে নেন। কিন্তু ২০২৫ IPL এ শ্রেয়াসকে ছেড়ে দিলো KKR. কলকাতা নাইট রাইডার্স ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল ২০২৫) এর জন্য রিটেইন এবং ছেড়ে দেওয়া খেলোয়াড়দের তালিকা ঘোষণা করেছে। চলতি বছরের শুরুতে ‘পার্পল ব্রিগেড’ তাদের তৃতীয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শিরোপা জিতেছে। সেই দলের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারকে দল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) রিটেইন করা খেলোয়াড়দের মধ্যে ভারতীয় তরুণ খেলোয়াড় রিঙ্কু সিং শীর্ষস্থান পেয়েছেন। এবার সবই তাকিয়ে শ্রেয়াসের নতুন পারফমেন্স-এর দিকে।

বিশ্বে যত টাকা আছে, তার থেকেও বেশি টাকা গুগলকে জরিমানা করলো রাশিয়ার এক আদালত

আপাত দৃষ্টিতে বিষয়টা অস্বাভাবিক মনে হলেও ঘটনা কিন্তু সত্য। একাধিক কারণেই আমারিকান এই সংস্থার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ জমে যাচ্ছিলো রাশিয়ার বিভিন্ন সংস্থার। জানা যাচ্ছে, প্রযুক্তি সংস্থা গুগলকে বিস্ময়করভাবে ২০ ডেসিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে রাশিয়ার একটি আদালত। বুধবার ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে যত টাকা আছে, সব একসঙ্গে করা হলেও এই পরিমাণ অর্থ হবে না। অংক শাস্ত্র বলছে, এক আনডিসিলিয়ন হল একের পর ৬৬টি শূন্য। অন্য দিকে, বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী জিডিপি ১০০ লক্ষ কোটি ডলারের। যার অর্থ রাশিয়া যে পরিমাণ অর্থ গুগ্‌লকে দিতে বলছে, সেই অর্থ পৃথিবীতে বিদ্যমান মোট অর্থের চেয়েও বেশি। জানা গেছে, গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউবে ১৭টি রাশিয়ান টেলিভিশন চ্যানেলের অ্যাকাউন্ট আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়ায় অস্বাভাবিক জরিমানার মুখে পড়েছে সংস্থাটি। নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া ক্রেমলিনপন্থী চ্যানেলগুলোর মধ্যে রাশিয়া-ওয়ান এবং রাশিয়া টুডে উপস্থাপক ও পুতিনের মুখপাত্র মার্গারিটা সিমোনিয়ানের প্ল্যাটফর্মও রয়েছে। রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম আরবিসির তথ্য অনুযায়ী, জরিমানার পরিমাণ ২০২০ সাল থেকে প্রতি সপ্তাহেই দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে জরিমানার পরিমাণ হয়েছে ২০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০, ০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ ডলারের সমান। এরপর কি হতে চলেছে, সেই দিকে তাকিয়ে আছে সারা বিশ্ব।

আজ থেকে আবার বাড়লো গ্যাসের দাম

উৎসবের মরসুম এখনও শেষ হয় নি। তার মধ্যেই এক ধাক্কায় ৬১ টাকা দাম বাড়িয়ে দেওয়া হলো বাণিজ্যক গ্যাসের। বাণিজ্যক গ্যাসের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলোচনা উঠেছে বাড়ির গ্যাসের দাম কি বাড়ছে? সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রতি মাসের শুরুতেই ওয়েল মার্কেটিং সংস্থাগুলি আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশেধিত পেট্রোলিয়ামের দামের পর্যালোচনা করে, সেই অনুযায়ী এলপিজি পন্যের দাম নির্ধারণ করে। এবারও ওয়েল মার্কেটিং সংস্থাগুলির তরফে ১৯ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হল। বাণিজ্যক গ্যাসের দাম বাড়ায় সমস্যায় পারবেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। গ্যাস সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ, ১ নভেম্বর থেকেই এই নতুন দাম কার্যকর হবে। এবার থেকে ১৯ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে খরচ পড়বে ১৯১১ টাকা ৫০ পয়সা। তবে ১৪ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিতই রাখা হয়েছে। ৮২৯ টাকাতেই পাওয়া যাবে ১৪ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার। এভাবে পর পর চার বার বৃদ্ধি পেলো বাণিজ্যক গ্যাসের দাম। ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা।

ভারতের তিন অঞ্চলকে নেপাল নিজেদের অংশ বলে দাবি করছে

নেপালের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এমনিতে ঠিক থাকলেও তিনটি অঞ্চল নিয়ে ইদানিং সমস্যা তৈরী হয়েছে। আর এবার সেই সমস্যার মধ্যে নেপাল চিনকে ঢুকিয়ে নিলো। ফলে তীব্র ক্ষোভ ভারতের। ২০২০-র ১৮ জুন নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র নেপালি সংবিধানে সংশোধন করে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধুরাকে নেপালের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ভারত ইতিমধ্যেই নেপালের ভূখণ্ডের এই দাবিকে ভুল বলে অভিহিত করেছে। ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে পশ্চিম নেপালের সীমান্তে অবস্থিত লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধুরা ভারতেরই অংশ। সেই পর্যন্ত এক রকম ছিল। কিন্তু সেই নিয়েই নেপাল এবার আরও কিছুটা এগোতে চাইছে। সম্প্রতি একটি সূত্র মাধ্যমে জানা গেছে যে চিনের ‘ব্যাঙ্ক নোট প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশন’ সংস্থাকে এই চুক্তি দিয়েছে নেপাল। ১০০ টাকার ৩০ কোটি নোট ডিজাইন, মুদ্রণ, সরবরাহ এবং বিতরণ করার জন্য বরাত দিয়েছে। খরচ হবে প্রায় ৮৯.৯ লক্ষ মার্কিন ডলার। যদিও এখন নেপাল তা স্বীকার করে নি। এই ইস্যুতে ভারত নেপাল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্টের মুখে। আর এর মধ্যে চিনকে ঢুকিয়ে নেপাল বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে বলেই কূটনৈতিক মহলের ধারণা।

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো জায়গা নেই – ইউনুস

এতদিন গোপনে গোপনে চলছিল শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ বিরোধী একটা প্রচার। এবার সেটাই স্পষ্ট করলো ইউনুস। ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ‘ফ্যাসিবাদের সমস্ত বৈশিষ্ট্য’ দেখিয়েছে এবং বাংলাদেশে রাজনীতিতে তাদের ‘কোনো স্থান নেই’। যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব মন্তব্য করেন। প্রশ্ন উঠেছে, দেশে কার জায়গা থাকবে আর কার থাকবে না তা ঠিক করবে দেশের মানুষ। সেকথা অন্য কেউ কী বলতে পারে? বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি অনেকটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু শেখ ইউনুসের এই মন্তব্যর মধ্যে অনেকেই একটা ফ্যাসিস্ট ভাবনার পরিচয় পাচ্ছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘স্বল্পমেয়াদে হলেও নিশ্চিতভাবেই তাঁর (শেখ হাসিনা) কোনো জায়গা নেই, আওয়ামী লীগের কোনো জায়গা নেই—বাংলাদেশে। নিজেদের স্বার্থ বাড়িয়ে নিতে তারা জনগণকে নিয়ন্ত্রণ (দমনপীড়ন) করেছে, তারা রাজনৈতিক দলকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, তারা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করেছে’, ‘একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনো ফ্যাসিস্ট দলের অস্তিত্ব থাকা উচিত নয়।’ আওয়ামী লীগ ভেঙে যেতে পারে বলে তাঁর অনুমান উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তবর্তী সরকার তাঁর ভাগ্য নির্ধারণ করবে না, কারণ এটি ‘রাজনৈতিক সরকার নয়’। আওয়ামী লীগ ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ‘ঐকমত্যের ভিত্তিতে’ নির্ধারিত হবে। এই মুহূর্তে বিষয়টি বেশ জটিল রূপ নিয়েছে।

দীপাবলিতে শিলিগুড়ি মেতে উঠলো নেপালের ‘কুকুর তিহার’ উৎসবে

প্রাণী জগতের প্রতি নেপালের মানুষের ভালোবাসার একটি স্মারক উৎসব হলো ‘কুকুর তিহার’। সাধারণভাবে এই উৎসব সীমাবদ্ধ থাকে নেপালের মধ্যেই। কিন্তু এবার সেই উৎসবের ঢেউ এসে পৌঁছালো শিলিগুড়িতে। কুকুর যে প্রভুভক্ত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাদের সম্মান জানাতেই নেপালের আদিবাসী সম্প্রদায় বহু বছর ধরে আয়োজন করেন কুকুর তিহারের। সারমেয়দের মালা, তিলক পরিয়ে সম্মান জানানো হয়। মূলত দীপাবলির দিনেই উদযাপিত হত এই কুকুর তিহার। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ কালীপুজোর দিনে শিলিগুড়িতেও অনুষ্ঠিত হল এই উৎসব। একেই হয়তো বলে ধৰ্মীয় সংস্কৃতির আন্তর্জাতিকতা। শিলিগুড়ির সেই উৎসবের ছবি মুহূর্তে সর্বত্র ভাইরাল হয়ে যায়। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি চারপেয়েকে কেন্দ্র করে উদযাপিত হচ্ছে কুকুর তিহার। তাকে পরানো হচ্ছে মালা, তিলক। জানা গিয়েছে, পথকুকুরদের আশ্রয়কেন্দ্রে আয়োজন করা হয়েছিল এই অনুষ্ঠানের। কালীপুজো মানে আলোর পাশাপাশি বাজিও। শব্দবাজির বাড়বাড়ন্তে পথে থাকা প্রাণীদের প্রবল সমস্যায় পড়তে হয়। অনেকে আবার মজা করে পথ কুকুরদের দিকে বাজি পটকা ছুঁড়ে দেয়। সেই পরিবেশে এই উৎসব মানুষকে বার্তা দিলো যে কুকুরকে ভালোবাসতের হবে।

ভূত চতুর্দশীতে আত্মাকে ভোগ নিবেদন করে কালীপুজোর দিন তাকে বেঁধে ফেলা হয়

নয় নয় করে প্রায় ৭০ বছর ধরে আসানসোলের মহিশীলা কলোনীর বাসিন্দারা এই উৎসব পালন করে আসছেন। এভাবেও যে মানুষ ভূতকে বন্দি করতে পারে তা ভেবে অবাক হতে হয়। জনশ্রুতি, আসানসোলের মহিশীলা ১ নম্বর কলোনীতে পিয়ালবেড়া শ্মশানের বটগাছে নাকি ভূতদের বেঁধে দিয়ে গিয়েছিলেন বামাক্ষ্যাপার অন্যতম প্রধান শিষ্য বনমালী ভট্টাচার্য। বনমালীবাবু আজ আর জীবিত নেই। কিন্তু গাছে নাকি রয়ে গেছে ভূতেদের দল! ভূত চতুর্দশীর রাতে তাদের কিছু সময়ের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। তবে পার্মানেন্ট মুক্তি নয়, একদিনের জন্যে মুক্তি। কালীপুজোর দিন আবার নানা মন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে সেই অশরীরী আত্মাদের আবার বাঁধা হয়। এই নিয়ে একটি প্রচলিত কিংবদন্তি হলো,বহু বছর আগে আসানসোলের রায় পরিবারের জমিদার জমি দান করেছিলেন তান্ত্রিক বনমালী ভট্টাচার্যকে। তিনি ছিলেন বামাখ্যাপার শিষ্য। তন্ত্রসাধনার জন্য তাঁকে মহিশীলার পিয়ালবেড়া শ্মশানে জমি দান করেছিলেন আসানসোল গ্রামের রায় পরিবার। কিন্তু সেই সময় জঙ্গলে ঢাকা সেই অঞ্চলের শ্মশানে ছিল ভূতের আস্তানা। রাতে কেউ শ্মশানে যেতে পারতেন না। সেই নির্জন স্থানে সাধনা শুরু করেন বনমালীবাবু। শুধু তাই নয়, এলাকায় যাতে অনিষ্ট করতে না পারে তাই সমস্ত ভূতেদের একটি গাছে তিনি বেঁধে রেখে দিয়েছিলেন। সেই রীতি এখনও সমানে চলেছে।

বাম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য সম্পর্কে একজন মহিলা সাংবাদিকের অভিযোগ ও কিছু প্রশ্ন

সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য সম্পর্কে শালীনতা হানির অভিযোগ এনেছেন এক মহিলা সাংবাদিক। কালবিলম্ব না করে তন্ময়ের দল তাকে দল থেকে বহিস্কার করেছে। একটা কথা ঠিক যে, কোনো মহিলা সাধারণভাবে নিজের সম্ভ্রম নিয়ে মিথ্যা বলতে পারে না। এবার একটা প্রচলিত প্রবাদ স্মরণ করছি -‘ প্রেম, যুদ্ধ আর রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু হয় না।’ তার মানে এটা মোটেই নয় যে মহিলা সাংবাদিক অসত্য বলছেন। তবে এই বিষয়ে অভিযুক্ত তন্ময় ভট্টাচার্যের প্রশ্নগুলো গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে। তারপরে নাগরিক মহল সিদ্ধান্ত নেবেন নিজেদের মেধা, বুদ্ধি ও বিবেক দিয়ে। তন্ময় ভট্টাচার্যের প্রশ্নগুলো কিন্তু মানুষকে ভাবতে হবে ।১) মহিলা সাংবাদিকের অভিযোগ, আগেও বার বার এমন কান্ড করেছেন তন্ময়। তাহলে কেন আগে তিনি অভিযোগ করেন নি? তার পরেও কেন তিনি বার বার তন্ময়ের কাছে গেছেন ইন্টারভিউ নিতে ? কেন নিজের অফিসকে জানান নি? কেন থানায় অভিযোগ করেন নি?২) আরো প্রশ্ন, অমন খারাপ ঘটনার পরে কেন তিনি ইন্টারভিউ কমপ্লিট করলেন ?৩) কেন ক্যামেরাম্যান নীরব থাকলেন?৪) কেন তখনই বরানগর থানায় অভিযোগ জানালেন না?৫) কার পরামর্শে কেনই বা বেশ কয়েক ঘন্টা পরে থানায় অভিযোগ জানালেন? এই সমস্ত প্রশ্নগুলো কিন্তু সামনে চলে এসেছে। এবার একটু ফিরে যাই ১৯৯৮ সালে। সকলের মনে আছে বাংলা কাঁপানো সেই ঘটনা। ১৯৯৮। ভাঙড়ের অশ্বত্থবেড়িয়া গ্রাম। চম্পলা সর্দার। পশ্চিমবঙ্গ তোলপাড় করেছিলেন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী চম্পলা সর্দার ধর্ষিতা। নারীর নিরাপত্তা নেই। আইনশৃঙ্খলা নেই। এই আওয়াজ তুলে রাজ্য জুড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন মমতা। পাঁচ জন সিপিএম সমর্থককে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনেও ‘ধর্ষিতা চম্পলা’ ছিল জোরালো ইস্যু। ২০০৩-এ প্রমাণ হয়েছিল, চম্পলা ধর্ষিতা হননি। আলিপুর আদালত ধর্ষণে অভিযুক্ত পাঁচ জনকেই মুক্তির আদেশ দেয়।(সূত্র আনন্দবাজার -১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬) আমরা শুধুই এইটুকু বলতে চাইছি – রাজনীতি হলো সমস্ত সম্ভাব্যতার খেলা। তন্ময় ভট্টাচার্য অপরাধ করলে তার চূড়ান্ত শাস্তি হোক। আর তা না হলে অভিযোগকারিনীকেও দেওয়া হোক শাস্তি।

এ বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালীপুজো ৪৭ বছরে পা দিলো

নয় নয় করে ৪৭ বছর হয়ে গেলো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালীপুজো। প্রথম থেকেই এই পুজো মূলত মমতার হাত ধরেই হয়ে আসছে। প্রতি বছরই নিষ্ঠা ভরে এই পুজো নিজে বসে থেকে তদারকি করেন তৃণমূলনেত্রী। এবারও সকাল থেকেই পুজোর আয়োজনে তদারকি করতে দেখাযায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে । পুজোর আচার অনুষ্ঠানের বিভিন্ন কাজ নিজ হাতে সারতে দেখা যায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে। প্রতিবারের মতো রান্না করেন মায়ের ভোগও। আসেন তৃণমূল কংগ্রেসে প্রথম সারির বহু নেতা। তবে নিরাপত্তার কারণে পাড়া প্রতিবেশীদের সেভাবে দেখা যায় নি। মমতা নিজে কালীপুজোর ভোগ রান্না করেছেন। অভিষেকের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকিমা কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়রা, স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মমতার বাড়ির পুজোয় ছিলেন। তাঁদের পুজোর জোগাড়ের কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গিয়েছে। এ ছাড়া, মমতার বাড়ির পুজোয় ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার মতো পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। কালো চশমা পরে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কন্যা ও স্ত্রী।এই আলোর উৎসব উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো মমতা একগুচ্ছ সামাজিক কাজও করেন। দীপাবলির আলোর মধ্যে যে মানুষেরা দারিদ্রের অন্ধকারে থেকে যায় তাদের কথা বলেন নি মমতা। তার জন্য প্রতি বছর বিশেষ আয়োজন করে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলা। এবারও প্রায় হাজার খানেক শিশুর হাতে পোশাক তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে তাদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় জেলা পুলিশের তরফে। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিঠুন দে। শিশুদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের মুখেও যাতে এই দিনে হাসি ফোটে তারও উদ্যোগ নেয় পুলিশ বাহিনী। কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালীপুজোর এক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। সেখানে তিনি জানান, চলতি বছরে তাঁর বাড়ির পুজো ৪৭ বছরে পা দিচ্ছে। পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, তাঁর মায়ের হাত ধরে এই পুজো শুরু হয়েছিল। সেই ঘটনার কথা জানাতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন,’ আমার বাড়ির ব্রহ্মময়ীর চরণে শতকোটি প্রণাম জানাই। মায়ের স্নেহাশিসে মা-মাটি-মানুষের কল্যাণ হোক – এই প্রার্থনা আমার।’

সময়ের অভাবে তিলোত্তমার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারেন নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী – অগ্নিমিত্রা

রবিবার একদিনের ঝটিকা সফরে বাংলায় এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার আগেই তিলোত্তমার মা-বাবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হয়তো রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের সময় দেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের কথা হয় নি। এই নিয়ে ননা গুঞ্জন উঠেছে সর্বত্র। এই পরিস্থিরিতেই বুধবার রাতে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল ও কৌস্তব বাগচী দেখা করেন তিলোত্তমার মা-বাবার সঙ্গে। অমিত শাহ প্রায় ১৯ ঘন্টা বাংলায় থাকলেও সময়ের অভাবে তিনি দেখা করতে পারেন নি তিলোত্তমার মা-বাবার সঙ্গে। মূলত সেই বার্তা দিতেই তাঁরা গিয়েছিলেন। বুধবার সন্ধে নাগাদ তিলোত্তমার বাবার ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যান অগ্নিমিত্রা, কৌস্তভ বাগচীরা,তেমনটাই দাবি বিজেপি নেত্রীর। পরে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তাঁরা। সেই সময় অমিত শাহর ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা বলেন, “উনি সময় পাননি দেখা করার। ১৯ ঘণ্টা হয়ত ছিলেন এখানে তবে সময় ছিল না হাতে একদম। দেড়টায় সময় হোটেলে ঢুকেছেন। পরের দিন পেট্রাপোল, এরপর পার্টির অনুষ্ঠানে সল্টলেক আর তারপরই চলে গিয়েছেন। আসলে আমাদের মনের শান্তির জন্য আর দাদা-দিদির (তিলোত্তমার মা-বাবা) শান্তির জন্য বলেছিলাম।” এর পরে তিনি আরও বলেন,”এই বিষয়টির তদন্ত হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে। এখানে প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলার বা করার কিছু নেই। দিদির পাশাপাশি দেখা করার জন্য আমিও অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছে। এটা মানসিক শান্তি।” তবে পরে কোনো এক সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চেষ্টা করবেন তিলোত্তমার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করার – এ কথাও তারা জানান।