General News

একেই মনেহয় বলে, ‘ভাষার আন্তর্জাতিকতা’

হ্যাঁ, ভাষার আন্তর্জাতিকতা হলো মাতৃভাষার প্রতি অমোঘ টান। এবার দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে তাই দেখা গেলো বেলজিয়ামে। অভিভূত সমস্ত বাঙালি। এবার ব্রাসেলসে পুজোর থিম ছিল – ‘শিশু মনে তিন রায়’। আসল বিষয় হলো, বেলজিয়ামের বাঙালিদের মধ্যে এখনও সম্পূর্ণভাবে বেঁচে আছে বাংলা সংস্কৃতি। সেভাবেই ব্রাসেলসে উদযাপিত হচ্ছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। সেখানে এবছরের পুজোর থিমে রয়েছে ষোলাআনা বাংলার সংস্কৃতির ঐতিহ্য—‘শিশু মনে তিন রায়’। ২০২১ সালে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস শহরে গড়ে ওঠে সেদেশের প্রবাসী বাঙালিদের সংগঠন ‘তেরো পার্বণ’। প্রতি বছরই দুর্গাপুজোর আয়োজন করছেন তাঁরা। এবারের থিমের (শিশু মনে তিন রায়) সঙ্গে সম্পর্কিত উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সুকুমার রায় এবং সত্যজিৎ রায়। কেন এমন থিম? তার উত্তরে ‘তেরো পার্বণ-এর বক্তব্য—“আর যেখানেই যাও না রে ভাই সপ্তসাগর পার… শুধু সপ্তসাগর নয়, (আবোল তাবোল) প্রকাশকালের ১০১ বছর পেরিয়ে আজও প্রাসঙ্গিক আমাদের চিরপরিচিত শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়। শুধু সুকুমার নন, তাঁর পিতা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এবং পুত্র বিশ্ববিখ্যাত চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের অনবদ্য সব সৃষ্টিও শিশুমনে জায়গা করে নিয়েছে, হয়ে উঠেছে তাদের বড় হয়ে ওঠার অনন্য সাথী।’ এর পরে সহজেই বোঝা যায় কি আন্তরিক টান বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি। এই বঙ্গে বসে আমরা জানাই তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

একেই মনেহয় বলে, ‘ভাষার আন্তর্জাতিকতা’ Read More »

নবমীতে দেবীর গা থেকে চুরি হয়ে গেলো ২৫ লাখ টাকার গয়না

চোর যে অচিরেই ধরা পড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ চোর জানতো না যে ওখানে লাগানো আছে CCTV. ফলে খুব সহজেই চোরকে দেখা গেছে। পুজোর মধ্যেই জমিদার বাড়ির দুর্গামন্দিরের দুঃসাহসিক চুরি। মন্দিরের তালা ভেঙে দেব-দেবীর গায়ে থাকা ২৫ লক্ষ টাকার গয়না লুট করল এক দুষ্কৃতীরা। মন্দিরের ভিতরে থাকা সিসিটিভি-তে চুরির বিষয়টি ধরা পড়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাচুন্দি গ্রামে চট্টোপাধ্যায় (আইমাদার) পরিবার এলাকার জমিদার বাড়ি। ২০টি পরিবার পালা করে প্রতি বছর দুর্গাপুজো করে। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। বাড়ির মধ্যে পাকা মন্দির। লোহার গেটে তালা দেওয়া থাকে রাতে। সেই তালা ভেঙেই চুরির ঘটনা ঘটে। সকালে মন্দিরের তালা ভাঙা দেখে সকলেই কাতর হয়ে পারেন। খবর যায় পুলিশে। ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, দুর্গা প্রতিমার মাথায় থাকা সোনা-রুপো মেশানো দেড় কেজি ওজনের মুকুট চুরি গিয়েছে। এছাড়াও প্রতিমার গায়ে থাকা গয়নাও লুট হয়েছে। পরিবারের দাবি, সবমিলিয়ে গয়নার বাজারমূল্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। মন্দিরের ভিতরে থাকা সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, রাত ১২টা ৪৮ মিনিট নাগাদ মন্দিরে ঢুকেছিল দুষ্কৃতী। ৭ মিনিটের মধ্যে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার গয়না চুরি করে পালায় গামছায় মুখ ঢাকা দুস্কৃতী। এখন পর্যন্ত চোর ধরা না পড়লেও পুলিশের বিশ্বাস অচিরেই ধরা পড়বে চোর।

নবমীতে দেবীর গা থেকে চুরি হয়ে গেলো ২৫ লাখ টাকার গয়না Read More »

লক্ষ্মীপুজো – ২০২৪

লক্ষ্মীপুজো বাঙালির ঘরে ঘরে হয়। সকলকেই মা লক্ষ্মীর আরাধনা করেন। দুর্গাপুজোর পরেই চলে আসে লক্ষ্মীপুজো। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে লক্ষ্মী পুজোর তোড়জোড়। কোজাগরী পূর্ণিমার দিন ঘরে ঘরে পূজিত হন মা লক্ষ্মী। সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির  জন্য লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয়ে থাকে। মা লক্ষ্মী হলেন ধন- সম্পদের দেবী। ধন, যশ, খ্যাতি, সুস্বাস্থ্যের জন্য দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে বাংলার প্রায় প্রতিটা পরিবার। বাংলায়  শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়।  ‘কোজাগরী’ কথাটির অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ হিন্দু পুরাণ মতে, আশ্বিনের এই পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মী এসে ঘরে ঘরে খোঁজ নিয়ে যান, কে জেগে আছে। এই রাতে যে ব্যক্তি জেগে দেবীর আরাধনা করেন, তার ঘরেই প্রবেশ করেন দেবী লক্ষী। জানুন এবছরের কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর নির্ঘণ্ট। পঞ্জিকা মতে,আগামী ১৬ অক্টোবর, বুধবার পড়েছে  এবছরের কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। ১৬ অক্টোবর, রাত্রি ৭/২৩/৪৫ থেকে ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যা ৫/১৭/৩৬ অবধি থাকবে পূর্ণিমা তিথি। বাঙালি হিন্দু ঘরে লক্ষ্মী পুজো এক চিরন্তন উৎসব। অনেকেই সারা বছর প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করে থাকেন। এছাড়া শস্য সম্পদের দেবী বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি, চৈত্র সংক্রান্তিতে এবং আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে লক্ষ্মীর পুজো হয়।  বেদে বর্ণিত হয়েছে লক্ষ্মী পুজোর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র –‘নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপরিয়ে। যা গতিস্তং প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্বদর্চবাৎ।।’আরও পাওয়া যায়,লক্ষ্মী পুজো প্রণাম মন্ত্র – ‘ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে। সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী…’।

লক্ষ্মীপুজো – ২০২৪ Read More »

ভ্রমণ-কালিংপং এই আছে ‘আপার গুম্ফাহাটা’- বৌদ্ধদের অপার শান্তির জায়গা

পাহাড়ে আমরা যাই। দার্জিলিং কালিংপংএ হয়তো আমরা অনেকবার গেছি। কিন্তু কালিংপং এই আছে এক অফবিট বেড়ানোর জায়গা আপার গুম্ফাহাটা।  বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র এই জায়গা। কারণ এখানে নাকি বুদ্ধদেবের পদচিহ্ন রয়েছে। এখানে একটি মনেস্ট্রি রয়েছে যেটি একটা সময়ে তৈরি করেছিলেন ভুটানের রাজা। কত বছর আগে এই বৌদ্ধ গুম্ফাটি তৈরি হয়েছিল তার সঠিক তথ্য এখনও কেউ দিতে পারেন না। তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয় ১৬ শতকে এই গুম্ফাটি তৈরি হয়েছিল। উঁচু পাহাড়ের উপরে রয়েছে গুম্ফাটি। কিন্তু বর্তমানে গুম্ফাটি অনেকটাই নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। এখানে আছে এক পবিত্র সৌন্দর্য। তাই বৌদ্ধ ধর্মপ্রাণ মানুষেরা শান্তির জন্য এখানে আসেন। এই গুম্ফায় আসতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এখানে কেউ জোরে কোনও কথা বলতে পারবেন না। আস্তে আস্তে কথা বলতে হবে। সেই সঙ্গে যতটা কম কথা বলা যায় ততটাই ভাল। এখানকার পরিবেশ এতোটাই শান্ত যে মন ভাল হয়ে যায়। প্রশান্তি ফিরে আসে মনে।   যাওয়া – শিলিগুড়ি থেকে এর দূরত্ব ৬৬ কিলোমিটার। গাড়িতে সোজা চলে আসা যায়। বাসেও আসা যায়। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে এর দূরত্ব ৭৪ কিলোমিটার। সেখান থেকেও গাড়িতে যাওয়া যায়। তবে আগে থেকে গাড়ি বুক করে রাখা ভাল। এই গুম্ফাটিতে এলে ভুটানি স্থাপত্যের নিদর্শন মেলে। এখানে সন্ন্যাসীরা উপাসনা করেন। সেকারণে এখানে কোনও রকম চিৎকার বা জোরে কথা বলা একেবারেই বারণ।

ভ্রমণ-কালিংপং এই আছে ‘আপার গুম্ফাহাটা’- বৌদ্ধদের অপার শান্তির জায়গা Read More »

SSKM এ দু’দল দুষ্কৃতীর ক্ষমতা দখলের লড়াই – নীরব পুলিশ

কোনো পুলিশ ওখানে ছিল না বললে, স্বীকার করতে হবে যে জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম দাবি – হাসপাতালে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা – তা করা হয় নি। আর সরকার পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, হাসপাতালে পুলিশ অনেক বাড়ানো হয়েছে। তা যদি সত্যিই হয়, তাহলে এটাই প্রমাণ হয় যে পুলিশ অন্ধ হয়ে ছিল। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রবিবাসরীয় সকালে, হকি স্টিক, উইকেট নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ঢুকে তুমুল মারধর করলো এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে। আর তার জেরে রোগীর আত্মীয়রা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। এই মুহূর্তে ওই ওই দুই গোষ্ঠী কারা হতে পারে তা বুঝতে খুব বেশি অসুবিধা কারোর হচ্ছে না। এসএসকেএম হাসপাতালে আজ মোটরবাইক নিয়ে ঢুকে পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী বলে খবর। তাদের হাতে ছিল হকি স্টিক, উইকেট এবং লাঠি জাতীয় কিছু বস্তু। ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে থাকে তারা। চিকিৎসাধীন এক রোগীর আত্মীয়কে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তারের অভিযোগ, হামলা যেখানে হয়েছে সেখানে পুলিশ ছিল। কিন্তুপুলিশ নীরব দর্শক ছিল। এই হামলার ঘটনায় এক যুবকের মাথা ফেটে যায়। আর তখনই পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। তাঁরা ট্রমা কেয়ার সেন্টারের দিকে ঢুকে ব্যাপক মারধর করতে শুরু করে। এই ট্রমা কেয়ার সেন্টারের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক রোগীর ছেলে সৌরভ মোদক। তাঁকেই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মাথা ফাটে তাঁর। এসএসকেএম হাসপাতালের এক কর্মী বলছেন, হঠাৎ করে এমন তাণ্ডব দেখে হকচকিয়ে যাই। তবে কাউকে চিনতে পারিনি। মনে হচ্ছে এই হাসপাতালের দুই গোষ্ঠীর ক্ষমতা প্রদর্শনের লড়াইয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়বে। অপরাধীরা ধরা পড়বে কি না – তা পরের প্রশ্ন। কিন্তু হাসপাতালের নিরাপত্তা যে নেই তা আবার প্রমাণিত।

SSKM এ দু’দল দুষ্কৃতীর ক্ষমতা দখলের লড়াই – নীরব পুলিশ Read More »

বেলেঘাটার রামকৃষ্ণ লেনের ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গা প্রতিমার রং কালো

মানুষের বিশ্বাসের উপর ভর করে যুগ যুগ ধরে চলেছে ‘বারো মাসে তেরো পার্বন’। তার মধ্যে অবশ্যই অন্যতম হলো – শারদীয়া দুর্গোৎসব। এই পুজোকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষ বিভিন্ন রীতি ও আচার অনুষ্ঠান পালন করেন। তেমনই বেলেঘাটার ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোর এক অদ্ভুত রীতি হলো দেবী দুর্গার গায়ের রং কালো। কিন্তু কেন? এখানেই প্রচলিত আছে এক কিংবদন্তি। বাংলাদেশের পাবনা জেলার স্থলবসন্তপুরে নাটোরে রাজত্ব করতেন রানি ভবানি। তাঁর আমলেই শুরু হয় এই বাড়ির পুজো। পুজো শুরু করেন হরিদেব ভট্টাচার্য। দেখতে দেখতে পুজো পেরিয়েছে ২৯০ বছরের গন্ডিও। এ বাড়িতে পুজো হয় কালিকা মতে। পুরোহিতের গায়ে থাকে লাল বস্ত্র। তন্ত্র মতে পুজো করেন দেবীর। ভোগে সকালে থাকে নিরামিষ আর সন্ধে বেলা আমিষ।

বেলেঘাটার রামকৃষ্ণ লেনের ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গা প্রতিমার রং কালো Read More »

অনুব্রত মন্ডলের অশৌচ চলছে – তাই অঞ্জলি দিলেন না

বীরভূমের ‘অনুব্রত মন্ডল’ – এই নামটাই যথেষ্ট। বছর দুই জেলে কাটিয়ে কন্যাকে নিয়ে কিছুদিন আগেই গ্রামে ফিরেছেন। এবার তিনি অনেক শান্ত। তার শরীরী ভাষায় নেই সেই ‘চড়াম চড়াম’ শব্দ। শুক্রবার গ্রামের বাড়ির পুজোতে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ তিনি মণ্ডপের বাইরে বসেছিলেন। তিনি বলেন, গ্রামের পুজোয় এসে খুব ভালো লাগছে। তবে মন্দিরে উঠতে পারব না। অঞ্জলিও দিতে পারব না। আমার কাকা মারা গিয়েছে তো তাই! বাইরে থেকে প্রণাম জানালাম দেবী দুর্গাকে। গত মাসেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তার কিছুদিন আগে জামিন পেয়েছিলেন মেয়ে সুকন্যাও। তবে বীরভূমে ফেরার পরে সরাসরি কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি অনুব্রতকে। বলা যায় কিছুটা এড়িয়েই যাচ্ছেন। তবে এদিন গ্রামের পুজোতেও তিনি বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন। পরনে পায়জামা, পাঞ্জাবি। মেয়ে পরেছিলেন শাড়ি। সিবিআইয়ের চোখে তিনি ছিলেন গরু পাচারকারী। তবে স্থানীয়দের চোখে কারোর কাছে তিনি কেষ্ট কাকা, কারোর কাছে তিনি কেষ্ট দা, কারোর কাছে অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় দুবছর তিনি জেলে ছিলেন। তবে এবার তিনি জামিনে মুক্ত। তবে জামিনে মুক্তি পেলেও তিনি বিতর্কিত কোনও মন্তব্য আর করতে চান না। একটা সময়ে তিনি চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসার জন্য বিশেষ নাম করে ফেলেছিলেন। বীরভূম তৃণমূলের শেষ কথা যে এখনও সেই কেষ্ট মণ্ডলও সেটাও স্বীকার করেন তিনি। তবে অনেকের মতে,জেল থেকে বের হওয়ার পরে আগের দাপট কিছুটা হলেও কমেছে তাঁর।

অনুব্রত মন্ডলের অশৌচ চলছে – তাই অঞ্জলি দিলেন না Read More »

দশমীকে কেন ‘বিজয়া দশমী’ বলা হয়?

আজ দশমী তিথি। বাঙালির চোখের জলে আজ শেষ হতে চলেছে এই বছরের উৎসব। কিন্তু একটা প্রশ্ন অনেকের মধ্যেই আছে যে কেন দশমীকে ‘বিজয়া দশমী’ বলা হয়? পুরাণে মহিষাসুর বধ কাহিনীতে লেখা রয়েছে,মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধ করার পর দশম দিনে তার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন দুর্গা। নারী শক্তির এই জয়লাভকেই ‘বিজয়া’ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আবার, শ্রী চণ্ডীর কাহিনী অনুসারে, দেবী আবির্ভূত হন আশ্বিন মাসের কৃষ্ণাচতুর্দশী-তে। মহিষাসুর বধ করেন শুক্লা দশমীতে। তাই দশমীতে এই বিজয়কেই চিহ্নিত করে বলা হয় ‘বিজয়া দশমী। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে উত্তর ভারাতের ‘দশেরা’ উৎসব। আজকের এই বিজয়া দশমীর দিনে উত্তর ও মধ্য ভারতে উদযাপিত হয় দশেরা। যদিও তার তাৎপর্য কিছুটা আলাদা। সংস্কৃত শব্দ ‘দশহর’ থেকে ‘দশেরা’ শব্দটির উৎপত্তি। যা সূচিত করে দশানন রাবণের মৃত্যু-কে। বাল্মিকী রচিত রামায়ণে কথিত, আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতেই রাবণ বধ করেছিলেন রাম। রাবণ বধের পর ৩০ তম দিনে অযোধ্যা প্রত্যাবর্তন করেন সস্ত্রীক রামচন্দ্র। তাই এই দিনটিকে দশেরা বা দশহরা হিসেবে পালন করা হয় উত্তর ও মধ্য ভারতের কিছু জায়গায়।

দশমীকে কেন ‘বিজয়া দশমী’ বলা হয়? Read More »

বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলা – বিশেষ তাৎপর্য মন্ডিত

হিন্দু বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসন – শারদীয়া দুর্গোৎসব শেষ। আজ বিজয়া দশমী। ঘাটে ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। পুরোহিত দেবী বিসর্জন দেওয়ার পরেই শুরু হয়ে যাবে মহিলাদের দেবী বারণ ও সিঁদুর খেলে। কিন্তু কি কারণে এই বারণ ও সিঁদুর খেলার প্রচলন? এর পিছনে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনি। আর সেখান থেকেই উঠে এসেছে সিঁদুর খেলার একাধিক কারণ। এই বিষয়ে তিনটি মত খুব প্রচলিত – ১) দেবী দুর্গার সঙ্গে মহিষাসুরের লড়াই চলেছিল টানা নয় দিন। নয় দিন যুদ্ধের পরে এই বিজয়া দশমীতেই তিনি জয়লাভ করেন। ফলে এই দিনটি উদ্‌যাপনের উদ্দেশ্যে সিঁদুর খেলা হয় বলে মত অনেকের। অনেকের মতেই এই সিঁদুর আসলে বিজয়ের প্রতীক। ২) অনেকের মতে, যেহেতু সিঁদুর ব্রহ্মের প্রতীক, তাই বিবাহিত নারীদের কাছে সিঁদুর খেলার অর্থ হল ব্রহ্মের আশীর্বাদ পাওয়া। আর সেটি পেলে স্বামী এবং সংসারের মঙ্গল হয়। সেই কারণেই তাঁরা সিঁদুর খেলেন। ৩) আর এক মত হল, দেবী দুর্গা যেহেতু বিবাহিতা, তাই তাঁকে বাপের বাড়ি থেকে বিদায় জানানোর সময়ে সিঁদুর পরিয়েই দেওয়াই নিয়ম। আর সেখান থেকেই সিঁদুর খেলার জন্ম। তার সঙ্গে মিষ্টিমুখ করানোর রেওয়াজ বলেও মনে করা হয়।

বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলা – বিশেষ তাৎপর্য মন্ডিত Read More »

ভ্রমন -দীঘা হয়ে উঠতে চলেছে সিঙ্গাপুর – আন্ডার ওয়াটার পার্ক

মুখ্যমন্ত্রীর সাধের দিঘায় এবার লাগতে চলেছে সিঙ্গাপুরের স্পর্শ। দিঘাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এবার বিদেশের মজা বাঙালির ঘরের পাশে দিঘায়। দিঘাতে জগন্নাথ ধাম শুরু হওয়ার আগেই পর্যটকদের জন্য এল আরও এক সুখবর। আর দেশ নয় বিদেশি পর্যটনস্থানের আদলে গড়ে উঠতে চলেছে নয়া পার্ক। সিঙ্গাপুরের আদলে এবার দিঘায় গড়ে উঠতে চলেছে ‘আন্ডার ওয়াটার পার্ক’। খুব তাড়িতাড়ি দিঘায় জায়গা চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। দিঘায় পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে গড়ে উঠবে বিদেশি স্টাইলে ‘আন্ডার ওয়াটার পার্ক’। বিষয়টা নিয়ে খুবই উত্তেজিত ভ্রমণার্থীরা।   জানা যাচ্ছে, সিঙ্গাপুরের ধাঁচে সমুদ্রের জলের নীচে টানেলে নেমে জলের নীচে সমস্ত প্রাণীদের দেখা যাবে বলে জানা গিয়েছে। দিঘায় ‘আন্ডার ওয়াটার পার্ক’ গড়ার দায়িত্বে পেয়েছে হিডকো নামক সংস্থা। ইতিপূর্বে দিঘায় পর্যটকদের জন্য জগন্নাথ ধাম মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। সেই কাজ শেষের পথে। এবার হবে আন্ডার ওয়াটার পার্ক।

ভ্রমন -দীঘা হয়ে উঠতে চলেছে সিঙ্গাপুর – আন্ডার ওয়াটার পার্ক Read More »