General News

ঝারগ্রামে পুজো কার্নিভাল নিয়ে শাসক দলের অন্দরে উস্মা

পুজো কার্নিভাল নিয়েও শাসক দলের ভিতরকার কোন্দল এড়ানো গেলো না। অন্যান্য অনেক জায়গায় সুষ্ঠুভাবে কার্নিভাল সম্পন্ন হলেও ঝারগ্রামে বিতর্ক থেকে গেলো। সেখানে তৃণমূলের পুর প্রতিনিধিদেরই ব্রাত্য রাখার অভিযোগ উঠেছে। জেলা শহরের পাঁচ মাথা মোড়ে আয়োজিত কার্নিভালের মঞ্চে জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, পুরপ্রধান কবিতা ঘোষ থাকলেও একজন বাদে তৃণমূলের কোনও পুর প্রতিনিধি ছিলেন না। শুধুমাত্র পুরপ্রধানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি মানসী ঘোষ মঞ্চে ছিলেন। একমাত্র বিরোধী সিপিআইয়ের পুর প্রতিনিধিও আমন্ত্রণ পাননি। স্বাভাবিক কারণেই সকলেই ক্ষুব্ধ। মুখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তারা স্পষ্ট করে। সকলেরই অভিযোগ, প্রতি বছরই দুর্গাপুজোর কার্নিভালে পুর প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। জেলা পরিষদের সদস্যরাও আমন্ত্রিত থাকেন। এবার জেলা সভাধিপতি ও জেলা পরিষদের সদস্যরা মঞ্চে থাকলেও পুরপ্রতিনিধিরা থাকলেন না কেন? পুরপ্রধানের বক্তব্য, ‘‘তথ্য সংস্কৃতি দফতরের আমন্ত্রণপত্রে কেবল আমার নাম ছিল। ওই আমন্ত্রণপত্রে ‘অল কাউন্সিলর’ লেখা থাকলে আমি কি সব পুরপ্রতিনিধিকে বলতাম না?’’ এরপরই ক্ষুব্ধ পুর প্রতিনিধিরা কার্নিভাল বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেন। শহর তৃণমূলের সভাপতি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি নবু গোয়ালা বলেন ‘‘প্রশাসন কিংবা পুরসভার তরফ থেকে কার্নিভালের কোনও আমন্ত্রণপত্র আমরা পাইনি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’’ সকলের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

ঝারগ্রামে পুজো কার্নিভাল নিয়ে শাসক দলের অন্দরে উস্মা Read More »

সোমবার শ্রীরামপুরের অনুষ্ঠিত হল দুর্গা পুজো কার্নিভাল – সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একাই একশো

বাংলার পুজো কার্নিভাল আন্তর্জাতিক হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়ার পরে একদম নতুন উদ্যোগে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে পুজো কার্নিভাল। সোমবার শ্রীরামপুরে অনুষ্ঠিত পুজো কার্নিভালে একদম নিজস্ব মেজাজে ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবছর দুর্গা পুজো কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয় শ্রীরামপুরে। আর ধুনুচি হাতে কার্নিভালে যোগ দিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের আনশন নিয়ে তীব্র ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘কিসের আনশন? এখন তো আনশন হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পর্যন্ত।’ সোমবারের সেই সেই কার্নিভালে জেলার ১৭ টি দুর্গা পুজো বারোয়ারী অংশ নেয়। কার্নিভালে অংশগ্রহণ করে শ্রীরামপুর, উত্তপাড়া, কোন্নগর, রিষড়া, ডানকুনি ও বৈদ্যবাটি পুরসভা এলাকার দুর্গা পুজো অংশ নেয়। শ্রীরামপুর জগন্নাথ মন্দিরের স্নান পিড়ি মাঠ থেকে জিটি রোড ধরে রথের রুট দিয়ে প্রায় দুই কিমি রাস্তা অতিক্রম করে বটতলা পর্যন্ত কার্নিভালের রুট নির্ধারন করা হয়। হুগলি জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও জন প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয় দুর্গাপুজো কার্নিভাল ২০২৪। উপস্থিত ছিলেন, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মিতালী বাগ সহ বহু সরকারি আধিকারিক ও তৃণমূল নেতা।

সোমবার শ্রীরামপুরের অনুষ্ঠিত হল দুর্গা পুজো কার্নিভাল – সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একাই একশো Read More »

আজ বিকেল পাঁচটায় ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ – আয়োজক সংগঠন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’

ঘোষণা বেশ কিছুদিন আগেই হয়েছে। এবার কার্যে পরিনত করার পালা। পুজোর পরে রাজ্য সরকার কত কয়েক বছর ধরেই করে ছেলেছেন ‘পুজো কার্নিভাল।’ কিন্তু তিলোত্তমা কাণ্ডের পরে, এ বছর পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা। এবার একাধিক চিকিৎসক সংগঠন ডাক দিয়েছে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’। কেন্দ্রীয় ভাবে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ হবে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টেয়। ধর্মতলায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। কিন্তু আয়োজক সংগঠন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’ চায় চলতি সপ্তাহে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হোক আরও ‘দ্রোহের কার্নিভাল’। সংগঠনের তরফে সোমবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সে কথা জানানো হয়েছে। আয়োজক সংস্থার ব্যাখ্যা— ‘‘দূরবর্তী জেলা বা মহকুমা থেকে ক্ষোভের আগুনে দগ্ধ অসংখ্য মানুষের এই কেন্দ্রীয় কার্নিভালে অংশগ্রহণ করা স্বাভাবিক কারণেই কষ্টসাধ্য। তাই জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সমস্ত গণতান্ত্রিক চেতনাদৃপ্ত সহনাগরিক, সাধারণ জনগণ এবং সমস্ত সামাজিক সংগঠনের কর্মীদের কাছে আবেদন রাখছে।’’ এতে উজ্জীবিত হয়েছে দূর দূরান্তের বহু চিকিৎসক সহ প্রতিবাদী মুখ। একথা ঠিক, সকলে পক্ষে কলকাতায় এসে দ্রোহের কার্নিভালে অংশ নেওয়া সম্ভব না। রাজ্য সরকার যেমন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পুজো কার্নিভাল করে, ঠিক সেভাবেই এবার হতে চলেছে -‘দ্রোহের কার্নিভাল।’ চিকিৎসক সংগঠনের আবেদনে বলা হয়েছে— ‘‘আপনার স্বকীয় এলাকায় চিকিৎসক-সহ সমস্ত পেশার স্থানীয় প্রতিনিধি, সংস্কৃতিকর্মী এবং যত বেশি সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণকে সুনিশ্চিত করে এই সপ্তাহের মধ্যে সুবিধামতো দিন, সময়, স্থান নির্বাচন করে দ্রোহের কার্নিভাল সংগঠিত করুন।” মূল কথা হলো দ্রোহের সুর সারা বাংলায় ছড়িয়ে দেওয়া।

আজ বিকেল পাঁচটায় ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ – আয়োজক সংগঠন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’ Read More »

আনশনকারী ডাক্তারদের তীব্র শ্লেষ কল্যাণের, উত্তর দিলেন জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো এমন সিনিয়র একজন রাজনীতিকের কাছ থেকে আরও কিছুটা সহানুভূতি আশা করা গিয়েছিল। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের আনশন প্রসঙ্গে ব্যঙ্গের সুরে তিনি বলেন, ‘কীসের অনশন। এখন তো অনশন হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত। আমরণ অনশন তো নয়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে দেখলাম একজন অনশন শুরু করেছে। বিকালেই চলে গেল হাসপাতালে। দমই নেই। ওরা মানুষের সেবা করতে আসেনি। নিজেদের ব্যাপারটা গুছিয়ে নিতে এসেছে।’ এখানেই না থেমে আরও কিছুটা এগিয়ে বলেন, ‘কিছু সিনিয়র ডাক্তার আছে, মাকু পার্টি আছে। বলছে সবাই আসতে পারে, রাজনৈতিক নেতারা আসতে পারবে না। নেতারা এলে চিহ্নিত হয়ে যাবে। কত রগড় দেখব। মানুষ এদের কাউন্টই করছে না। …এরা ডাক্তার হওয়ার অযোগ্য। ডাক্তাররাও মানুষদের খ্য়াপাচ্ছে।’ স্বাভাবিক কারণেই এই আক্রমন প্রত্যক্ষভাবে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের। এই নিয়ে তীব্র ক্ষুব্ধ জুনিয়র চিকিৎসকেরা। জুনিয়র চিকিৎসকের পক্ষ থেকে দেবাশিস হালদার বলেন, ‘তিনি চেয়েছিলেন যে অনশনকারীরা এখানে বসে মরে যাক। তাই তো! এটাই তো উনি চান? দম ধরে রাখার কথা বলে তিনি কী বোঝাতে চাইলেন। যে এখানে বসে থেকে… আমরা যখন দেখব যে এখানে অনশনকারীরা মরে যাচ্ছে, তখনও আমরা হস্তক্ষেপ করব না। এটাই উনি চান। এই প্রশ্ন বরং তাঁকেই করা হোক, যে দম ধরে রাখা মানে কী? আমরা অনশন করছি। এখানে কেউ চকোলেট, স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশন করছে না। আমরা জানি এখানে অনশন করলে কার শরীরে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে।’ নাগরিক মহল প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংসদের এই মন্তব্যে।

আনশনকারী ডাক্তারদের তীব্র শ্লেষ কল্যাণের, উত্তর দিলেন জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার Read More »

আজ আর জি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি – তাকিয়ে সব পক্ষ

আর জি কর কাণ্ডে CBI এর আগ্রগতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সন্তোষ প্রকাশ করলেও জুনিয়র ডাক্তার ও নাগরিকমহল কিন্তু ওই আগ্রগতিতে মোটেই খুশি নয়। মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানিতে গুরুত্ব পাবে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন। পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে বিষয়টি ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। প্রথম থেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরানোর ক্ষেত্রে উদ্যোগী সুপ্রিম কোর্ট। তাই অনশনের ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে কী বলবেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়? সেদিকেই থাকবে নজর। এদিন সিবিআই পঞ্চম স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেবে। আরজি কর খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজের বাইরে বৃহত্তর পরিসরে, এমনকী রাজ্যের বাইরেও তদন্ত ছড়াবে কি না, সেই বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত নিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু কথা হলো, ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মাত্র একজন জড়িত – CBI এর এই তত্ত্ব মানতে চাইছে না জুনিয়র ডাক্তারেরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি ছিল, হাসপাতালে উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদের অবিলম্বে সাসপেন্ড করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে রাজ্য সরকার। ফলে অভিযুক্ত আধিকারিকদের অপসারণের বিষয়ে রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করেছে কি না, তা ফের শুনানিতে উঠে আসতে পারে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স এর কাজ কতদূর এগিয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট এদিন জমা দেবেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সব মিলিয়ে আজ টান টান উত্তেজনা থাকবে সুপ্রিম কোর্টে।

আজ আর জি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি – তাকিয়ে সব পক্ষ Read More »

আবার অনশনস্থলে অসুস্থ এক জুনিয়র ডাক্তার

আবার খুবই অসুস্থ হয়ে নীলরতন হসপিটালে ভর্তি হলেন ডাঃ পুলস্ত্য আচার্য। রাতে চিকিৎসকরা জানান, এখনও সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন পুলস্ত্য। শরীরে কিটোন বডির মাত্রা বেশি, রক্তচাপ কম। তবে বর্তমানে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। এই নিয়ে চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চ থেকে চারজন জুনিয়র চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পড়লেন। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই অনশনরত জুনিয়র ডাক্তার পুলস্ত্য আচার্যের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পিজিটি প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ওই চিকিৎসকের পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় সাড়া না দেওয়াতেই তড়িঘড়ি এনআরএস-এ নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত তিনি এখনও সংকটমুক্ত নন। হসপিটালের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ডাঃ পুলস্ত্যের চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল টিমও গঠন করা হয়েছে। রয়েছেন অ্যানাস্থেশিয়া, কার্ডিওলজি, মে়ডিসিন, চেস্ট মেডিসিন ও নেফ্রোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা। প্রাথমিক পরীক্ষার পর জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে অনশনের জন্য শরীরে জলের অভাব দেখা দিয়েছে। রয়েছে বমি ভাব। দেহে কিটোন বডির মাত্রা ৩+। এর জেরে কিডনিতে প্রভাব পড়ছে। প্যালপিটেশন আছে। স্বাভাবিক কারণেই ত্রাস তৈরী হয়েছে আন্দোলনকারীদের মধ্যে।

আবার অনশনস্থলে অসুস্থ এক জুনিয়র ডাক্তার Read More »

পুজো ভাসানকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে মৃত্যু এক কিশোরের

ভাসানকে কেন্দ্র করে হিংসা ও মৃত্যু এড়ানো গেলো না। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই হিংসার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বাহরাইচের মনসুর গ্রামের মহারাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। মৃত যুকের নাম রাম গোপাল মিশ্র। ভাসান শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিল সেই রাম গোপাল। বিসর্জনেন মিছিল যখন বাজার এলাকা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন রাম গোপালকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ অবস্থয় রাম গোপালকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু ঘটে রাম গোপালের। এর পর উত্তেজিত জনতা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পাথর ছোড়াছুড়ির ঘটনাও ঘটে। এর জেরে জখম হন বেশ কয়েকজন। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরী হয়। হিংসার সময় গুলিতে এক ২২ বছর বয়সি যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মাতৃ প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় ভাসান যাত্রায় যে গান চালানো হচ্ছিল, তা ঘিরেই হিংসার সূত্রপাত ঘটেছিল। আর এর জেরেই রক্ত ঝরে বিসর্জনের সময়। এদিকে এই হিংসার জেরে আরও প্রায় ৬ জন জখম হয়েছেন বলে খবর মিলেছে। অনেকেই পাথরের আঘাতে জখম হয়েছেন বলে খবর। এদিকে এই ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এই হিংসার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আদিত্যনাথ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, দোষীদের কোনও ভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না। হিংসা ছড়ানোর নেপথ্যে যাদের হাত আছে তাদের সকলকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যোগী। এই যোগীর রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হানাহানি কিছুতেই এড়ানো যাচ্ছে না।

পুজো ভাসানকে কেন্দ্র করে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে মৃত্যু এক কিশোরের Read More »

সম্প্রীতির নজির গড়লো বাংলাদেশের পঞ্চগড়

এ বছর বাংলাদেশের পুজো নিয়ে তৈরী হয়েছিল বেশ কিছু সমস্যা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বেশ কিছু পুজো মন্ডপে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু সর্বত্র এক ছাবি নয়। সেই সময় এই বাংলাদেশ দেখল অন্য নজির। বলা ভাল সম্প্রীতির নজির। বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে একই আঙিনায় মসজিদ-মন্দির। পুজোও যেমন হল, নামাজও পাঠও হল তেমনভাবেই। বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড় সদর। উপজেলা গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নে এই মাঠে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই মাঠেই মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন পড়েন নামাজ। এখানেই পালিত হয় দুর্গাপুজো। বাধাবিপত্তি, বিধিনিষেধ ও ভেদাভেদ ভুলে হিন্দু-মুসলিমরা পালন করেন নিজ নিজ ধর্ম ৷ এমন নজির বাংলাদেশে খুবই কম আছে। এলাকাবাসী বলছে, নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্দিরের মাইক, ঢাক ঢোল সহ যাবতীয় শব্দ বন্ধ থাকে। মসজিদে নামাজ শেষ হলে স্বাভাবিক হয় মন্দিরের কার্যক্রম। এখানে কোনও বিশৃঙ্খলা হয় না। একে অপরকে সহযোগিতায় মিলিত হন সব উৎসবে। এখানে কোনও বিভেদ ও ঝামেলা ছাড়াই হিন্দু ও মুসলমানরা যে যার ধর্ম পালন করে আসছেন। দুর্গা পুজোর সময় ও ঢাক ঢোল নিয়ে কোনও সমস্যা হয় না। এবারও এখানে পালিত হয়েছে দুর্গাপুজো। একপাশে মন্দিরে হিন্দু ধর্মালম্বীরা মণ্ডপে দেবী দুর্গার মণ্ডপ তৈরি করে করছেন পুজো-অর্চনা। অন্যদিকে, কিছুটা দূরত্বে মসজিদে মুসলমানরা পড়ছেন নামাজ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এমন নজির সত্যিই বিরল।

সম্প্রীতির নজির গড়লো বাংলাদেশের পঞ্চগড় Read More »

ভ্রমণ-একদিনে ঘুরে আসুন ফুলের রাজ্য ক্ষীরাই 

 ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ পৃথিবীতে নেই। তাই চলুন ঘুরে আসি কোলকাতার সামনেই ফুলের রাজ্য থেকে। কাঁসাই নদীর তীরে অবস্থিত ক্ষীরাই একটি স্বপ্নের গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি ছোট্ট স্টেশন। যেখানে একবার গেলে পরের বার আসার ইচ্ছা হবেই। কয়েক বছর ধরেই ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে ক্ষীরাই একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে। এতো রকম ফুলের চাষ এবং তার বিচিত্র রূপ, কখন ২-৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাবে বুঝতে পারবেন না। ক্ষীরাই যেন দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততার মাঝে বেঁচে থাকার অক্সিজেন। এমন রঙের বাহার আপনি কোথায় পাবেন না।    রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবেন,আর   বিঘার পর বিঘা জমিতে ফুটে আছে হরেক রকমের রঙ-বেরঙের ফুল। ট্রেনে যেতে যেতেই যা দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। স্টেশনে নেমে প্ল্যাটফর্মের পিছনের দিকের রাস্তা ধরে সোজা হাঁটতে হবে প্রায় দেড় কিলোমিটার। এখানে কোন পাকা রাস্তা নেই। পাকা রাস্তা তো দুর অস্ত, কোন রাস্তা নেই বললেই ঠিক হবে। রেললাইনের পাশ ধরে লাল কাঁকুড়ে মাটির যে সরু রাস্তা আছে সেই বরাবর সোজা হাঁটা লাগাতে হবে। যতোদুর চোখ যাবে দিগন্ত জুড়ে ফুলেদের রাজত্ব। চারদিকে শুধুই রঙিন ফুলের বাহার। তার মাঝে সরু আল ধরেই হাঁটতে হবে। ফুলেদের পাশাপাশি কিছু সব্জিও আছে। ব্রীজের একপাশের ফুল দেখে ক্ষান্ত না হয়ে হেঁটে রেললাইনের অপর প্রান্তে চলে যান।  যেকোনো সময় যেতে পারেন এখানে। তবে শীতে যেতে পারলেই ভালো হয়। হাওড়া থেকে খড়গপুর বা মেদিনীপুর লোকাল, যে কোন একটাতে উঠতে হবে। দুই ঘন্টার মত সময় লাগে ট্রেনে যেতে। পাসকুরার পরের স্টেশন হলো ক্ষিরাই। স্টেশনে নেমে তিন নম্বর লাইন ধরে বরাবর পাসকুরা দিকে ২.৫ কিলোমিটার হেঁটে যেতে হবে। কিছুদূর যাওয়ার পর পড়বে কংসাবতী বা কসাই নদী। নদীর দুদিকেই ফুলের চাষ হয়।

ভ্রমণ-একদিনে ঘুরে আসুন ফুলের রাজ্য ক্ষীরাই  Read More »

গারো পাহাড়ের পাদদেশে পুজো সম্পন্ন হলো বানভাসি জলের মধ্যে

বাংলাদেশের উত্তর অংশে, বিশেষ করে শেরপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলাসহ বেশকিছু পুজোমণ্ডপ করতে হয়েছে পুরো জলের উপর। বন্যার জলে ডুবে আছে বাড়ি, মাঠ-ঘাট, স্কুল-কলেজ, কবরস্থান, শ্মশানঘাট। এর মধ্যে এল পুজো। বাংলাদেশে সর্বজনীন এই উৎসবে সবার সহযোগিতায় হয়েছে বেশ কিছু পুজোমণ্ডপ। চারদিক তলিয়ে আছে বন্যার জলে। এর মাঝে জলে দাঁড়িয়েই মা দুর্গার আরাধনা করছেন ভক্তরা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের পাদদেশে শেরপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলাসহ বেশকিছু পুজোমণ্ডপ করতে হয়েছে পুরো জলের উপর। তবুও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার ডোমকোনা গ্রামের বর্মণবাড়ি সর্বজনীন দুর্গামন্দিরের মতো এমন দুর্দশার চিত্র এই কয়েকটি জেলার বিভিন্ন মণ্ডপে। বন্যার জলে ম্লান হয়েছে ময়মনসিংহ-সহ ওইসব অঞ্চলের দুর্গাপূজার আনন্দ। হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া এবং ফুলপুর উপজেলার অনেক জায়গায় বন্যার কারণে, এবার সরিয়ে নিতে হয়েছে পূজা মণ্ডপ। ভাটা পড়েছে উৎসব আনন্দে। তারই মধ্যে মানুষ বের হয়েছে পুজো মন্ডপে। সকলেই নিজেদের মত করে মেতেছেন উৎসবে।

গারো পাহাড়ের পাদদেশে পুজো সম্পন্ন হলো বানভাসি জলের মধ্যে Read More »