আর কয়েকদিন পরেই শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন ২০২৫।
আকাশছোঁয়া জিনিসপত্রের দাম। কিছু কিনতে গেলে পকেটে যেন ছ্যাঁকা লাগছে। তার ওপর রয়েছে আয়করের বোঝা। রোজগারের একটা অংশ চলে যাচ্ছে কর দিতেই। এই পরিস্থিতিতে কি কিছু ছাড় পাবে মধ্যবিত্ত? সেই নিয়েই বিশ্লেষণ করেছেন বাজেট বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, ১ ফেব্রুয়ারীর বাজেটে ৫টা নতুন বিষয় আসতে পারে।
১) ট্যাক্স স্ল্যাব কমানো: যাঁদের বার্ষিক আয় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে, তাঁদের করের হার কমানো হতে পারে। বর্তমানে ১০ লাখ টাকার বেশি বার্ষিক আয়ে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। মূল্যস্ফীতি যে হারে বাড়ছে করের হার কমানো ছাড়া উপায় নেই।
২) স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনে বৃদ্ধি: পুরনো কর কাঠামোয় ৫০ হাজার টাকা এবং নতুন কর কাঠামোয় ৭৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাওয়া যায়। মূল্যস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার খরচ বাড়ায় এই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন আরও বাড়ানোর দাবি উঠেছে।
৩) প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিশেষ ছাড়: প্রবীণ নাগরিকদের ট্যাক্স ছাড়ের সীমা আরও বাড়ানোর দাবি করেছেন অনেকেই। বর্তমানে পুরনো কর কাঠামোয় ২.৫ লাখ টাকা এবং নতুন কর কাঠামোয় ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে ট্যাক্স ছাড় দেওয়া হয়। এই সীমা বাড়িয়ে পুরনো কর কাঠামোয় ৭ লাখ টাকা এবং নতুন কর কাঠামোয় ১০ লাখ টাকা করার দাবি উঠেছে।
৪) হোম লোনে ছাড় বৃদ্ধি: আয়করের ধারা ২৪বি-এর আওতায় হোম লোনের সুদের উপর ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। এই ছাড় বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে করদাতাদের সুবিধা হবে।
৫) ধারা ৮০ডি-এর আওতায় স্বাস্থ্য বিমা প্রিমিয়ামে ছাড়: ধারা ৮০ডি-এর আওতায় স্বাস্থ্য বিমা প্রিমিয়ামে ৬০ বছরের কম বয়সীরা ২৫ হাজার টাকা এবং প্রবীণ নাগরিকরা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পান। এই ছাড়ের সীমা বাড়িয়ে যথাক্রমে ৫০ হাজার এবং ৭৫ হাজার টাকা করার দাবি উঠেছে।