Travonews.in

মালচিং পদ্ধতির মাধ্যমে তরমুজ চাষ করে ভালো লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা

 

উত্তরবঙ্গের কৃষকরা জানাচ্ছে, মালচিং পদ্ধতির মাধ্যমে চাষাবাদ করলে, খরচের পরিমাণ হয় অনেকটা কম। তবে সেই চাষ থেকে লাভের পরিমাণ পাওয়া যায় অনেক বেশি। তাই মালচিং চাষের মাধ্যমে সাধারণ জমিতে তরমুজ চাষ করছেন হলদিবাড়ির এক কৃষক। তিনি অন্যান্য কৃষকদেরও মালচিংয়ের মাধ্যমেই তরমুজ চাষ করার জন্য জানাচ্ছেন।
হলদিবাড়ি ব্লকের হেমকুমারী গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার মিস্ত্রি পাড়ার বাসিন্দা ঝন্টু সরকার। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। কৃষক ঝন্টু সরকার জানান, “স্ট্রবেরি, করলা, ক্যাপসিকাম, লঙ্কা, বেগুন, টম্যটো, শিম চাষের পাশাপাশি হলদিবাড়িতে মালচিং পদ্ধতির মাধ্যমে এখন তরমুজ চাষ করা হচ্ছে। সাধারণ পদ্ধতির মাধ্যমে তরমুজ চাষ করলেও লাভের পরিমাণ অনেকটাই কম পাওয়া যায়। তবে এই বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে তরমুজ চাষ করলে চাষে লাভের পরিমাণ থাকে অনেকটা বেশি।”

তিনি নিজের তিন বিঘা জমিতে যেমন এই চাষ করছে, তেমনই পাশাপাশি অন্যান্য কৃষকরাও তার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মালচিং পদ্ধতির মাধ্যমে তরমুজ চাষ করছেন। এক বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করলে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। গাছের চারায় জল ও সার খুব কম লাগে। খরচ হয় বীজ ও মালচিং পেপারের কেনার সময়। তারপর একবার সার প্রয়োগ করে জমি তৈরি করে নিয়ে মালচিং দিয়ে ঢেকে নিয়ে চারা রোপণ করতে হয়। মাঝে মাঝে শুধু সামান্য জলসেচ প্রয়োগ করতে হয়, তবে সেটিও খুব একটা বেশি নয়। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ খুব সহজ ও লাভজনক।তাই এই পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের লাভ হবে অনেক বেশি। গ্রামের বেশিরভাগ কৃষকেরা যেন এই পদ্ধতিই ব্যবহার করেন, তাই গ্রামের অন্যান্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি।

Picture of ট্রাভো নিউজ
ট্রাভো নিউজ