পুলিশ ও আফগারী দপ্তরের অনুমতি ছাড়া পোস্ত চাষ নিষিদ্ধ। কিন্তু সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছিল পোস্ত চাষ। বিশেষ করে গোঘাটের বদনগঞ্জ ফলুই এক নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় এই পোস্ত চাষ করতে দেখা যায়। গোঘাটের মাঝুরিয়া গ্রামের মাঠজুড়ে চলছিল এক প্রকার মাদক ব্যবসার ‘কর্মযজ্ঞ’। লক্ষ লক্ষ টাকার পোস্ত চাষ। আর সেই পোস্ত গাছ থেকে নিষিদ্ধ আফিমের ব্যবসা চলছিল রমরমিয়ে। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, খবর পাওয়ার পরে বৃহস্পতিবার মাঝুরিয়ায় হঠাৎই অভিযান চালায় পুলিশ। পোস্ত চাষ বন্ধ করার পাশাপাশি ধ্বংস করে দেওয়া হয় পোস্ত গাছ।
স্থানীয় মানুষ মনে করে এই অভিযান মাঝে মাঝেই চালাতে হবে। তা নাহলে আবার রমরমিয়ে শুরু হবে সেই বেআইনি চাষ। জানা গিয়েছে, বিঘা প্রতি পোস্ত চাষ থেকে তৈরি হচ্ছে ২ থেকে ৩ কেজি করে আফিম। প্রতি কেজি আফিম বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার টাকারও বেশি দামে। কিন্তু অবৈধ পোস্ত কারবারীদের বিরুদ্ধে নালিশ জানানোরও সাহস নেই কারও। চাষিদের মতে, এক বিঘা জমি থেকে পোস্তর আঠা সংগ্রহ করে ২ থেকে আড়াই কেজি মতো আফিম তৈরি হয়। যার বাজারমূল্য কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এই বিষয়ে আরামবাগের এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, ‘খবর পাওয়ার পরেই পুলিশ পোস্ত চাষ বন্ধ করার পাশাপাশি পোস্ত গাছ ধ্বংস করে দিয়েছে। এই অভিযান চলবে। পুলিশ অনুসন্ধান করছে আর কোথায়, কোথায় এই চাষ হচ্ছে।’