অবসাদ বা ক্লান্তি এখন যেন জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শরীর আর মনের মধ্যে ঠিক কোথায় ক্লান্তি বাসা বেঁধেছে, তা বোঝা বেশ কঠিন। চিকিৎসকরা বলছেন, শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি অনেকটা ‘মানিকজোড়’-এর মতো। অর্থাৎ, একটির সঙ্গে অন্যটি এমন ভাবে যুক্ত যে, এদেরকে আলাদা করা মুশকিল।
ক্লান্তির কারণ:
- শরীরের সঙ্গে মনের যোগ নিবিড়। শরীরে কিছু হলে মনের উপর প্রভাব পড়বে। আবার, মনখারাপ থাকলেও শরীর বেঁকে বসতে পারে।
- হরমোনের হেরফের কিংবা রক্তাল্পতার মতো সমস্যা থেকেও কিন্তু শারীরিক ভাবে ক্লান্ত লাগতে পারে।
- আবার কোনও ঘটনায় মনের উপর অত্যধিক চাপ পড়লেও কিন্তু দেহের পেশিতে, মাথায় ব্যথা হতে পারে। অনেকের তো খিদে, ঘুমও চলে যায়।
- অবসাদ থেকেও কিন্তু শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে।
- কোনও কাজে অতিরিক্ত মাথা খাটাতে হলেও তার প্রভাব মনের উপর পড়তে পারে। শারীরিক ভাবে তো ক্লান্ত বোধ করতেই পারেন। এমনকি, কারও সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে না-ও করতে পারে।
ক্লান্তি দূর করার উপায়:
- মনকে শান্ত রাখার বিবিধ পন্থা রয়েছে, সেগুলি রপ্ত করতে হবে। ধ্যান, যোগ, শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া-ছাড়ার মাধ্যমে মনে প্রশান্তি আসতে পারে।
- সারা দিন ধরে কাজ করুন। কিন্তু কাজের মাঝে কিছু ক্ষণের জন্য হলেও বিরতি নিন। তাতে মনের একঘেয়েমি কাটবে, চোখের উপরেও চাপ পড়বে না।
- পর্যাপ্ত ঘুম হলে শরীর এবং মনের ক্লান্তি কাটে। যত কাজই থাকুক না কেন, রাতে অন্ততপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো আবশ্যিক। না হলে মাথাও বিগড়ে যেতে পারে।
- নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ‘এন্ডরফিন’ নামক এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মনমেজাজ ভাল রাখতে এবং ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে।
- পেশা এবং ব্যক্তিগত জীবন আলাদা রাখার অভ্যাস করতে হবে। শরীর এবং মনের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, এমন কাজে সরাসরি ‘না’ বলে দেওয়াই শ্রেয়।
কিছু অতিরিক্ত টিপস:
- সুস্থ খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
- নিজের শখের জন্য সময় বার করুন।
- পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।
- প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
#ক্লান্তি #মানসিকস্বাস্থ্য #শারীরিকস্বাস্থ্য #সুস্থজীবন #অবসাদ #শরীরচর্চা #ঘুম #ধ্যান #যোগ