Travonews.in

তিলোত্তমার মা-বাবা আজ(বৃহস্পতিবার) যাচ্ছেন দিল্লিতে

 

আর জি কর কাণ্ডে তিলোত্তমার মা-বাবার প্রধান অভিযোগ তাঁদের মেয়ের ধর্ষণ ও হত্যার তদন্তের আগ্রগতি নিয়ে তারা অন্ধকারে। কলকাতার সিবিআই দপ্তর তাঁদের কিছু জানাচ্ছে না। এমন কি তাঁদের ফোন ধরছে না। তারা সেই বিষয় নিয়েই বিস্তারিত খোঁজ নিতে আজ, বৃহস্পতিবার দিল্লি যাচ্ছেন। কেন তদন্ত এত ‘স্লথ’ গতিতে চলছে। কীভাবে দ্রুততার সঙ্গে করা যায়। বর্তমান ‘স্ট্যাটাস’ কী। ইত্যাদি সব কিছুই জানার জন্য রওনা হয়েছেন দিল্লিতে। সিবিআই-এর ডিরেক্টরেটের সঙ্গে দেখা করবে নির্যাতিতার পরিবার। এই মামলার আইনজীবীর সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। তিলোত্তমার বাবা জানান, “সুপ্রিম কোর্টে যিনি আমাদের আইনজীবী করুণা নন্দী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। আমাদের শিয়ালদহ আদালতে যাঁরা লিগ্যাল টিম আছে তাঁরাও যাচ্ছেন। সিনিয়র কয়েকজন চিকিৎসক আছেন যাঁরা যাচ্ছেন। মামলা যাতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে হাইকোর্টে ফিরিয়ে আনা যায় সেই চেষ্টাও করা হবে। এছাড়া আমরা দিল্লির সিজিও কমপ্লেক্সে যাব। সিবিআই-এর ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলব। এখানকার তদন্তের অগ্রগতির সম্বন্ধে জানব।” সিবিআই এর তদন্ত নিয়ে তারা যে সন্তুষ্ট নয়, তা তাঁরা আগেও জানিয়েছেন।

বাস্তবিক রাজ্য পুলিশ যেটুকু কাজ করেছিল, সিবিআই তার থেকে কত কয়েক মাসে এক পাও এগোতে পারে নি। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তার সহ সমস্ত নাগরিক মহল। মনে করা হচ্ছে, কোনো অজ্ঞাত কারণে সিবিআই শীতঘুমে আছে। তিলোত্তমার মা সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করব না। ওঁরা আমাদের সময় দেননি। হয়ত পরের সপ্তাহে সময় হবে। কেসটার অগ্রগতি কতদূর তা বুঝতেই তো পারছি না। সেই কারণে যাব।” একটা প্রশ্ন সব মহলেই উঠেছে যে, সঞ্জয় রায়ের একার পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো প্রায় অসম্ভব। এর পিছনে আর কে বা কারা ছিল! তাদের কি আড়াল করা হচ্ছে? অন্তত ২৯টা প্রশ্নের উত্তর তারা পায় নি। সেই বিষয়েও তারা অভিযোগ জানাবে বলেই জানা যাচ্ছে।

Picture of ট্রাভো নিউজ
ট্রাভো নিউজ