বৃহস্পতিবার কানায় কানায় পূর্ণ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রবেশ করেন তখন বিপুল করতালি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। তাঁর বক্তব্যতে ছিল দুটি অংশ – তাঁর ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ ও আগামী ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তিনি বলেন, গতকালও সিবিআই ২৮ পৃষ্ঠার চার্জ শিটে ২ জায়গা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নামের উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এই অভিষেক কে তা বলার সাহস পায় নি। তিনি বলেন, ‘খবরে দেখাচ্ছে, আমার বিরুদ্ধে নাকি সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে। দু’জায়গায় খালি আমার নাম লিখেছে। কে অভিষেক, বাড়ি কোথায়, কোনও পরিচয় লেখা নেই। সিবিআই ভাববাচ্যে কথা বলছে। বিজেপি নেতারা যেমন ভাববাচ্যে কথা বলে থাকে। ওদের এই ভয় আমার ভাল লেগেছে। আমি কথা পাল্টাই না। আগেও বলেছিলাম, কেউ কোনও দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে, ফাঁসির মঞ্চে চলে যাব। এখনও তাই বলছি।’
এর পরেই তিনি সোজা ভাষায় আক্রমন করেন বিজেপি, নিউজ মিডিয়া ও কেন্দ্রীয় সরকারকে। তিনি বলেন, আবাস যোজনা, লক্ষ্মীর ভান্ডার, পথশ্রী প্রকল্পে বিপুল টাকা খরচ করেছে রাজ্য। কিন্তু কোনো মিডিয়া তা খবর করবে না। তাই তাঁর বক্তব্য, ‘এসব খবর দেখতে পাবেন না টিভিতে। কারণ বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার কাজে সংবাদমাধ্যমের একাংশ জড়িত রয়েছে। বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে তামাক খেয়ে। আমি এসব নিয়ে বলতে চাই না। খবরে রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আমি নাকি বিজেপিতে যাব। খবরের সব মিথ্যা। আমার গলা কেটে দিলেও সেই কাটা গলা দিয়েই বেরোবে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’।’
এর পরেই তিনি আবার নিজের প্রসঙ্গ টেনে বলেন,’২০২০ সালে বলেছিলাম আমার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদতে কোনও ভুল হয়েছে বা কোনও দুর্নীতি হয়েছে। কেউ দশ পয়সা তুলেছে প্রমাণ করতে পারলে চার্জশিট লাগবে না। সমন দিয়ে ডাকতে হবে না। ফাঁসির মঞ্চ করুন মৃত্যুবরণ করব। আজও একই কথা বলব প্রমাণ থাকলে প্রমাণ দেবেন। নবজোয়ারের সময় সিবিআই ডেকেছিল। কী হল? আমি অন্য ধাতুতে তৈরি। আপনি যত প্রহার করবেন, আঘাত করবেন তত শক্তিশালী হবো। আপনাদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করার পাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। মানুষের কাছে যাব মাথানত করব।’ শেষে বলেন, আর সময় নেই, এবার সকলে পথে নামুন। আর বেশি সময় নেই। প্রতিজ্ঞা একটাই এবার ২২৯টা থেকে অন্তত ১টা সিট হলেও আমাদের বেশি পেতে হবে।