Travonews.in

কার্তিক মহারাজের আশীর্বাদ নিয়ে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের সভাপতির পদ ছাড়তে হলো মাঙ্গিলাল তাপারিয়াকে

 

যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, উনি অনেকদিন আগেই ওয়েবকুটার সভাপতির পদ থেকে সরে গেছেন। তবে অনেকে আবার বলছেন, সভাপতির পদ থেকে আধ্যাপক
মাঙ্গিলাল তাপারিয়াকে এখন সারানো হলো। কলেজ শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি হয়েও ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজের পদতলে বসে আশীর্বাদ নিয়েছিলেন। আর সেই অভিযোগে কড়া অবস্থান নিল ওয়েবকুপা। সরিয়ে দেওয়া হল বীরভূমের ওয়েবকুপা জেলা সভাপতি মাঙ্গিলাল তাপারিয়াকে। এ প্রসঙ্গে মালদহে এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘যে অধ্যাপকের কথা বলছেন, উনি অনেকদিন ধরেই আমাদের ওয়েবকুপার জেলা সভাপতি পদে নেই। তিনি তৃণমূলের অন্য কোনও সংগঠনে আছেন কি না, তা আমার জানা নেই। অধ্যাপক দীনবন্ধু মণ্ডলকে বীরভূম জেলার ওয়েবকুপার নতুন সভাপতি করা হয়েছে।’’

এই প্রসঙ্গে মাঙ্গিলাল তাপারিয়ার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য -“আমি শিক্ষা নিয়ে আছি, সেটা নিয়েই থাকতে চাই।’’ বিতর্কের সূত্রপাত গত রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি। মাঙ্গিলাল তাপারিয়া সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক। একইসঙ্গে বোলপুরের বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার। ২০২০ সালে সিউড়িতে অধ্যাপক হিসাবে কাজে যোগ দেন। তখন থেকেই তিনি জেলা ওয়েবকুপার জেলা সভাপতি হিসাবে কাজ করছেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বোলপুরে ভারত সেবাশ্রম সংঘের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক তাপারিয়া। সেখানে মন্দির চত্বরে বেলডাঙার বিতর্কিত কার্তিক মহারাজের কাছে বসে তাঁর আশীর্বাদ নেন তাপারিয়া। এবং সেই ছবি নিজের সোশাল অ্যাকাউন্টে দিয়ে তাপারিয়া সাহেব লেখেন, ‘আজ, ১৬/০২/২৫ বোলপুর ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বার্ষিক অনুষ্ঠানে পদ্মশ্রী কার্তিক মহারাজের আশীর্বাদ প্রাপ্তি’। তারপরেই কার্তিক মহারাজ বিজেপির লোক বলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে। আর এবার সরতে হলো।

Picture of ট্রাভো নিউজ
ট্রাভো নিউজ