যেমনটা ভাবা হয়েছিল ঠিক তেমনটাই হয়েছে। সোমবার থেকে বিজেপির অধীনে বিধানসভা। তারা আগেই জানিয়েছিল প্রচুর দুর্নীতির কথা। তারা এটাও জানাও যে বিধানসভা অধিবেশনে তারা প্রথমেই CAG (ক্যাগ) রিপোর্ট পেশ করবে। সেই কথা মতোই কাজে নেমে পড়েছে পদ্ম শিবির। বিধানসভায় আয়োজিত তিন দিনের বিশেষ অধিবেশনে আপের আমলে ঘটা আবগারি কেলেঙ্কারি নিয়ে ক্য়াগ রিপোর্ট পেশ করল তারা। আর তারপরেই বাঁধল হইচই। মঙ্গলবার অধিবেশনের শুরু থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে টানা স্লোগান চালাতে দেখা যায় বিজেপিকে। অধ্যক্ষ থামানোর চেষ্টা করলেও, তাতে কান দেননা আপ বিধায়করা। আর সেই হই হট্টগোলের মধ্যে বিধানসভায় নিজেদের ব্রহ্মাস্ত্র বের করে বিজেপি। আপের আবগারি কেলেঙ্কারির ক্যাগ রিপোর্ট পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত। আর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লি বিধানসভা।
একদিকে আপের বিরুদ্ধে বিধানসভায় ক্যাগ রিপোর্টকে হাতিয়ার করল বিজেপি। অন্যদিকে, আপ চলল অম্বেডকর ইস্যুতে। কেন মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীর ঘর থেকে অম্বেডকরের ছবি সরিয়ে মোদীর ছবি বসানো হয়েছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলল তারা। যার মাশুলও গুনতে হল কিছুক্ষণের মধ্যেই। হইচই, উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরির দায়ে বিধানসভা থেকে এক দিনের জন্য সাসপেন্ড হলেন আপের ১২ বিধায়ক। সাসপেন্ড হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অতিশি মারলেনাও। মুলতুবি অধিবেশন। তবে সাসপেন্ড হওয়ার পরে কিন্তু থেমে থাকেনি সেই ১২ আপ বিধায়ক। বিধানসভার অন্দর থেকে বেরিয়ে ওই চত্বরেই হাতে বাবা অম্বেডকরের ছবি হাতে বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেখায় তারা।