বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে এই খবরটা কিছুটা চাপের হয়ে গেছে সন্দেহ নেই। কারণ বিভিন্ন রাজ্যের পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সংস্থা রাজ্যকে ১০০ তে প্রায় ৫৭ নম্বর দিয়ে জানান, পশ্চিমবঙ্গ ‘হাই পারফর্মিং স্টেট’ অর্থাৎ উচ্চ কর্মক্ষমতা সম্পন্ন রাজ্যের তালিকার অন্তর্ভুক্ত। অথচ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে প্রথম থেকেই তিক্ত সম্পর্ক রাজ্যের। সরকারি প্রকল্পের টাকা আটকে রেখে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছিল। বাংলার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাই ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, স্বাস্থ্য মিশনের বরাদ্দ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, শিক্ষা মিশনের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অনিয়ম–দুর্নীতি তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছিল। নানা প্রকল্প খাতে বাংলার প্রাপ্য আটকে রেখেছে কেন্দ্র বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ।
বঙ্গ-বিজেপি নেতারাও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগই তুলে ধরেন বারবার। কিন্তু এবার স্বয়ং কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টই তা কার্যত খারিজ করে দিল নিজেদেরই সেই অভিযোগ। একাধিক রাজ্যে পঞ্চায়েতের কাজকর্মের উপর একটি মূল্যায়ন করে নয়া তকমা দিল কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রক। ফলে নির্বাচনের আগে তৃণমূলের হাতে এসে গেলো প্রচারের বড়ো মাধ্যম। বাংলার কাজ যে সঠিক পথে এগিয়েছে এবং সাফল্য পেয়েছে সেটা প্রমাণ হয়ে যায়। তাই তো পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নে বাংলার কাজকর্মে সন্তুষ্ট মূল্যায়নকারী টিম। আর এই মূল্যায়নের মধ্য দিয়েই একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্যকে পিছনে ফেলে এগিয়ে বাংলা। এই মূল্যায়নে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫৬.৫২ নম্বর পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।