উদ্বিগ্ন কলকাতা পৌরসভা। যদিও ওই দূষিত জল কখনোই পৌরসভা সাপ্লাই করে নি। এই নিয়ে ওই আবাসনের এক আবাসিক বিবেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘আমাদের আবাসনে আগুন নেভানোর জলাধারের পাশেই সাধারণ জলাধার। আগুন নেভানোর জলাধারটি গত দশ বছরে পরিষ্কার হয়নি। ওই জলাধার ভরে গেলে সেই দূষিত জল পাশের জলাধারে গিয়ে পড়ে। আমাদের সন্দেহ, সেখান থেকেই বিপত্তি ঘটেছে।’’ ইতিমধ্যে পৌরসভার বিশেষজ্ঞরা যেকোজা থেকে ওই আবাসনে জল ঢুকছে, সেই জল পরীক্ষা করে জানিয়েছে যে সেই জলে কোনো ব্যাক্টেরিয়া নেই, তা পানযোগ্য।
সূত্রের খবর, শহরের রাস্তায় প্রায় ২০ হাজার জলের কল রয়েছে। ওই সমস্ত কলের জল ছাড়াও পলতা ও গার্ডেনরিচ জল প্রকল্প এবং বিভিন্ন বুস্টার পাম্পিং স্টেশন থেকে জলের নমুনা নিয়ে পুরসভার খাদ্য গবেষণাগারে নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়। তবে, এত রকম নমুনা পরীক্ষার জন্য ১৬টি স্থায়ী ওয়াটার অ্যানালিস্ট পদে বর্তমানে রয়েছেন মাত্র পাঁচ জন। বাকি চার জন অস্থায়ী। তাই কাজ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পুর স্বাস্থ্য বিভাগের এক আধিকারিক বললেন, ‘‘গরম পড়লেই পুরসভার জলে সংক্রমণের অভিযোগ আসতে শুরু করে। গত মাসেই ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বস্তিতে পানীয় জল থেকে সংক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল। আমরা গিয়ে জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করাই। কোথায় সমস্যা ছিল, খুঁজে বার করি।’’ এখনও পৌরসভার বিজ্ঞানীরা নিয়মিত সর্বত্র জলের নমুনা পরীক্ষা করে চলেছেন।