এবারের রাজ্য বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ও ‘নদী বন্ধন’ প্রকল্পে অনেক টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাতে উপকৃত হবে উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলের বহু মানুষ। নদী বাঁধের জন্য বরাদ্দ রাজ্য বাজেটে ২০০ কোটি। খুশির হাওয়া সুন্দরবন জুড়ে। নদী বন্ধন প্রকল্প চালু হওয়ায় রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ নদী বাঁধ জীবন জীবিকা বাঁচাও কমিটিরও। বসিরহাটের সুন্দরবনের সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, হাড়োয়া ও মিনাখাঁ সহ ১০টি ব্লকেই নদীমাতৃক এলাকা রয়েছে। প্রতিবছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার পরে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সুন্দরবনবাসী। গত কয়েক বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা সহ নদী বাঁধ সংস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এবার রাজ্য বাজেটে ‘নদী বন্ধন’ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যেখানে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তাতে খুশি বাঁধ পাড়ের মানুষ।
বর্ষাকাল আসলেই আতঙ্কিত হয়ে পারেন ওই অঞ্চলের মানুষ।
উত্তর ২৪ পরগণা নদী বাঁধ জীবন-জীবিকা রক্ষা কমিটির সভাপতি অজয় বাইনের নেতৃত্বে দীর্ঘ কয়েক বছর তাদের এই আন্দোলন চলছিল। তাদের দাবি ছিল সুন্দরবন বাঁচলে মানুষ বাঁচবে। দীর্ঘদিন ধরে তারা তাদের এই কর্মসূচি বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে করেছেন। রাজ্য বাজেটে নদী বাঁধের জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দ হওয়ায় খুশির হাওয়া তাদের মধ্যেও। কমিটির সদস্যরা বলেন, “একদিকে ম্যানগ্রোভের চারা অন্যদিকে নদী বাঁধ সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ব্লকে ব্লকে আমাদের এই আন্দোলন চলছিল। আজকে তার সুফল মিলেছে। আমরা চাই আরো বেশি করে বরাদ্দ হোক।” সমাজকর্মী ছন্দক বাইন বলেন, “বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে সুন্দরবন যদি তলিয়ে যায়, সেক্ষেত্রে গোটা বসিরহাট জুড়ে এক ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। সুন্দরবনকে বাঁচাতে গেলে ম্যানগ্রোভের যেমন প্রয়োজন রয়েছে।”