একজন চিকিৎসক মানে বেশ কয়েক হাজার সাধারণ মানুষের উপকার। কারণ তিনি বহু মানুষকে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলেন। আবার এর বিপরীতে একজন চিকিৎসকের মৃত্যু মানে বহু মানুষ সেই চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবে। কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালের হস্টেল থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক মেডিক্যাল পড়ুয়ার নিথর দেহ। ঝুলন্ত অবস্থায় মিলেছিল তাঁর দেহ। মৃত ইন্টার্নের নাম কিষাণ কুমার। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু কেন তিনি এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি অন্য কিছু? কারণ যাই হোক ভারত হারালো একজন চিকিৎসককে।
এর মধ্যে সামনে এল আরও এক খবর। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ১২টা ১০ মিনিট নাগাদ ওই মেডিক্যাল পড়ুয়ার দেহ হস্টেলে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে বলে পুলিশের কাছে খবর আসে। কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে এম্বুল্যান্সে করে দেহটি কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসকরা দেহটি পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর অ্যাম্বুল্যান্সে দেহ নিয়ে মেডিক্যালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন প্রায় রাত ২টো বেজে গিয়েছে। তারপর থেকে সেই দেহ মর্গের বাইরেই পড়ে থাকে। এরপর রাত গড়িয়ে সকাল আসে। সকাল থেকে দুুপুর। মেডিক্যাল পড়ুয়ার দেহ অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই পড়ে থাকে বলে অভিযোগ। কিন্তু এভাবে দেহ পড়ে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই দেহতে পচন ধরার সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে কেন দেহ সকালের পর থেকে দুপুর পর্যন্ত এভাবে মর্গের বাইরে পড়ে থাকল তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। তৈরী হয়েছে বিতর্ক।