কুম্ভ মেলাকে কেন্দ্র করে মমতা কুলকার্নি হয়ে উঠেছেন একটা নিউজ। কত খবর না সামনে আসছে। এবার নতুন খবর। মহাকুম্ভেই সন্ন্যাস নিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই মোহভঙ্গ হল তাঁর। শুধু তাই নয়, কিন্নর আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর পদেও আসীন হন। কিন্তু মমতা কুলকার্নিকে অনেকেই এই পদে মানতে পারেননি। তাঁর বিতর্কিত অতীত জীবন নিয়ে বিস্তর চর্চা, জলঘোলা চলে। তারপর এদিন তিনি সেই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। জানান তাঁর প্রতিক্রিয়া। এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো, খালি মমতা কুলকার্নি নন, তাঁর গুরু লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠিকেও কিন্নর আখড়া থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি ভিডিয়োতে মমতা কুলকার্নি তাঁর পদত্যাগে কথা ঘোষণা করেন। সেখানেই তিনি এই বিতর্ক নিয়েও মুখ খোলেন। বলেন, ‘আমি মহামণ্ডলেশ্বর ইয়ামাই মমতা নন্দগিরি এই পদ থেকে পদত্যাগ করছি। এই সম্মান আমায় দেওয়া হয়েছিল আমার ২৫ বছরের সংযমের জন্য। কিন্তু কিছু মানুষের অসুবিধা আছে আমার মহামণ্ডলেশ্বর হওয়া নিয়ে।’ সেই খবর ছাড়িয়ে ভক্তদের মধ্যে দু’রকম প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
তিনি এদিন তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁর বলিউডের জীবন টেনে এনে এখনের সঙ্গে তুলনা করার জন্য। প্রাক্তন অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি ২৫ বছর আগে বলিউড ছেড়েছিলাম। নিজের ইচ্ছায় উধাও হয়ে গিয়েছিলাম সব থেকে। নইলে কে মেকআপ, গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে দূরে থাকে এতদিন?’নিজের ধর্মীয় সফরের বিষয়ে জানিয়ে তিনি বলেন যে তাঁর ধর্মের প্রতি নিষ্ঠা নিয়ে তাঁদের থেকে কিছু শুনতে চান না যাঁরা তাঁকে কটাক্ষ করছেন। মমতার কথায়, ‘আমার গুরু শ্রী চৈতন্য গগনগিরি মহারাজ একজন সিদ্ধ মহাপুরুষ ছিলেন। আমি ওঁর সঙ্গে থেকে ২৫ বছর সংযম করেছি।