
এটা দুর্ভাগ্যর যে একটা দেশে সেই দেশের জাতির জনককে শুধুই খুন করে শান্ত থাকলো না, শেষ পর্যন্ত সেই জাতির জনকের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো। এইভাবে ইতিহাস, ঐতিহ্য ধ্বংস করা দেখে আর চুপ থাকতে পারল না ভারত সরকার(Indian Government)। কড়া নিন্দা করা হল বিদেশমন্ত্রকের তরফে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল মুজিবের বাড়ি ধ্বংস করার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেন, “শেখ মুজিবরের বাড়ি বাঙালির কাছে গর্ব। দখলদারি-নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক। এই ধরনের ধ্বংসলীলা কঠোরভাবে নিন্দনীয়।” আর এতেই ক্ষুব্ধ ইউনুস সরকার(Unus Government)। তারা ডেকে পাঠালেন ভারতের রাষ্ট্রদূতকে।
আরও পড়ুন
A section of the new generation in that country has forgotten the history:বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ভুলে গেলো ওই দেশের নতুন প্রজন্মের একাংশ
রণধীর জয়সওয়াল আরও বলেন,’যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে গুরুত্ব দেন, তারা জানেন বাংলাদেশের কাছে এই বাড়িটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই বাড়ি দখলদারি ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই-প্রতিরোধের চিহ্ন ছিল।’ ভারত সরকারের এই বিবৃতি যখন দেওয়া হচ্ছে, সেই সময়ই ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করেছে ইউনূস সরকার। সূত্রের খবর, ভারতে বসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্বন্ধে মিথ্যা মন্তব্য পেশ করছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর উপরে রাশ টানা উচিত ভারত সরকারের। এমনটাই দাবি ইউনূস সরকারের। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে সমীকরণ বজায় রাখতে শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল(Virtual) ভাষণ আটকাতে পদক্ষেপের দাবিতেই ভারতের হাইকমিশনার(High Commissioner) পবন বাধেকে তলব করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রশ্ন, দেশের অভ্যন্তরে এভাবে কেউ কি করতে পারে? অর বাক স্বাধীনতা সকলের আছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে এভাবে অন্যায় হলে ভারতকে মুখ খুলতেই হবে।