Travonews.in

সেলিমের ‘ব্যতিক্রমি’ তত্ত্ব

 

সিপিএমের একটা বিশেষ নীতি হলো ৭০ বছর অতিক্রম করে গেলে তাঁরা জেলা বা রাজ্য কমিটিতে থাকতে পারবেন না। এইখানেই প্রশ্ন উঠেছে। নিয়ম করেও কেন ৭০ বছর পূর্ণ করা নেতাকে জেলা সম্পাদক করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। এমনকি, দলেরই নিয়ম ভেঙে একাধিক জেলায় চতুর্থবার জেলা সম্পাদক দায়িত্ব পাওয়া নেতাদের নিয়েও প্রশ্ন ওঠে রাজ্য কমিটির বৈঠকে। আর সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ‘ব্যতিক্রম’-র আশ্রয় নিতে হল মহম্মদ সেলিমদের। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে সিপিএমের ২ দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক। বুধবার রাত পর্যন্ত চলে প্রথমদিনের বৈঠক। সেখানে নিয়ম ‘ভাঙা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠে। সিপিএম নিয়ম করেছে, ৭০ বছর বয়স পেরিয়ে গেলে কোনও নেতা জেলা কমিটিতে থাকতে পারবেন না। কিন্তু সেই বয়সসীমা পেরিয়ে গেলেও কোচবিহারের জেলা সম্পাদক হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অনন্ত রায়। স্বাভাবিক কারণেই এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

খবরে প্রকাশ মাস দুই আগেই অনন্ত রায়ের বয়স ৭০ বছর অতিক্রম করেছে। তারপরও তিনি জেলা সম্পাদক হয়েছেন। আবার সিপিএমের নীতি অনুসারে, তিন দফার মেয়াদ পূর্ণ হলে আর সেই পদে থাকা যায় না। কিন্তু তিনবার মেয়াদ পূর্ণ করার পরও চতুর্থবারের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর আর মালদহর জেলা সম্পাদক হয়েছেন নিরঞ্জন সিহি আর অম্বর রায়। দল যখন তরুণ প্রজন্মকে গুরুত্ব দিচ্ছে, তখন কেন এই অবস্থা? দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকের প্রথমদিন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বৈঠকে উপস্থিত নেতারা। আর এইসব প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ‘ব্যতিক্রমের’ আশ্রয় নিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি ব্যাখ্যা দেন, আপাতত ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত। তবে তা সাময়িক। পরিস্থিতির কারণে করতে হয়েছে। আসল কথা এখন আর যোগ্য মানুষ পাচ্ছে না সিপিএম। নেতা কর্মীদের একটা বড়ো অংশ বসে গেছেন আর একটা ছোট অংশ হয় তৃণমূল নয় বিজেপিতে চলে গেছেন।

Picture of ট্রাভো নিউজ
ট্রাভো নিউজ