এই অভিযোগে আদালতে আগেই আবেদন করেছেন পার্থর আইনজীবী। জানা যাচ্ছে, সিবিআই বিশেষ আদালতে আজ জানাবেন, কলকাতার অন্য কোনো বেসরকারি হসপিটালে তাঁর চিকিৎসা করানোর। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের কাছে পার্থর মেডিক্যাল রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। ১৬ জানুয়ারি দুপুরে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। জেলের চিকিৎসকরা প্রথমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএমে পাঠানোর। সেদিনই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে সূত্রের দাবি, ২৩ জানুয়ারি থেকে শারীরিক অবস্থান আরও অবনতি হয়েছে পার্থর। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি জেলবন্দি।
কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও রয়েছে সমস্যা। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণেও গোলমাল হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতেই তাঁর আইনজীবীর দাবি, এসএসকেএমে সঠিক যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না। অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। ২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার আবাসন থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ও বহুমূল্যের গয়না বাজেয়াপ্ত করে ইডি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পার্থর বাড়িতে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। আর তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এখন দেখার আজ মঙ্গলবার আদালত কোন রায় দেন।