বিশ্বের সমস্ত শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিতে পাখির বিশেষ স্থান আছে। কারণ পাখি উড়তে পারে। পাখির সেই ওরা দেখেই মানুষ এক সময় আবিষ্কার করেন বিমান। কিন্তু পাখি ছাড়াও আরও অনেক প্রজাতির প্রাণী কিন্তু উড়তে পারে। সেই তালিকায় প্রথম নাম –
* বাদুর – হরর সিনেমার একটি যেন কমন দৃশ্য। বাদুর। কোনও পরিত্যক্তি বাড়িতে বাদুরের দেখা। বাস্তব জীবনেও অনেক জায়গাই এই প্রাণীকে দেখা যায়। পাখি নয়, তবে বাদুর কিন্তু উড়তে পারে।
* প্রজাপতি – প্রকৃতির অন্যতম সুন্দর উপহার প্রজাপতি। রংবেরংয়ের প্রজাপতি দেখা যায়। মুগ্ধতায় তাকিয়ে থাকতে হয়। এও কিন্তু পাখি নয়।
* ফড়িং – তেমনই অতি পরিচিত আরও একটা প্রাণী ফড়িং। এরা অতি চালাকও। যাঁদের ছেলেবেলা গ্রামে কেটেছে, তাঁরা এই বিষয়টি আরও ভালো উপলব্ধি করতে পারবেন। ফড়িং ধরা কতটা ঝক্কির কাজ ছিল…। পোকামাকড় খেয়েই বেঁচে থাকে এই পতঙ্গ।
* উড়ন্ত মাছ – মাছও উড়তে পারে! অবাক হওয়ার মতো হলেও সত্যি। সুমদ্রে এমন মাছও রয়েছে যা অনেকটা দূরত্ব উড়ে যেতে পারে। ঢেউ কাটিয়ে এগিয়ে যেতেই এমনটা করে থাকে।
* উড়ন্ত ব্যাঙ – কুনো ব্যাঙ, সোনা ব্য়াঙের পাশাপাশি উড়তে পারে এমন ব্যাঙও রয়েছে। যারা মূলত গাছে থাকে। এক গাছ থেকে আর এক গাছে, ডাল থেকে ডালে উড়ে যেতে পারে।
* কাঠবিড়ালি – কাঠবিড়ালিও অনেকেই দেখেছেন। কত দ্রুত গাছে উঠে যেতে পারে, আবার নামতেও এটাও দেখার মতো বিষয়। তেমনই এমন কাঠবিড়ালিও রয়েছে যা উড়তে পারে। শরীরের চামরাকেই ডানা হিসেবে ব্যবহার করে।
* মোবুলা রে- এটিকে ঈগলরশ্মিও বলা হয়। মূলত যে সমস্ত অঞ্চলে গরম বেশি সেখানকার সমুদ্রে পাওয়া যায়। যা প্রয়োজনে উড়তেও পারে!
* পিঁপড়ে – পিঁপড়ের ক্ষেত্রেও এমনটা রয়েছে। একটা সময় পাখা হয়, উড়তেও পারে। তেমনই অনেক সময় গাছ কিংবা কোথাও থেকে পড়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে ওড়ার ভঙ্গিতেই ল্যান্ড করে।
* এক প্রজাতির টিকটিকি –
টিকটিকি প্রজাতির অন্যতম অংশ। যা উড়তে পারে। এক গাছ থেকে আর এক গাছে সহজেই উড়ে যেতে পারে। গভীর জঙ্গলে দেখা মেলে এর।
* সুগার গ্লাইডার – সুগার গ্লাইডার নামের এক প্রাণীও রয়েছে। এরও দেখা মেলে ঘন জঙ্গলেই। মূলত এক গাছ থেকে অন্য গাছে উড়েই যায়।