মানুষ যে অনেক বেশি পরিবেশ সচেতন হয়েছে তা বোঝা যায় এই বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা দেখে। ভারতের সামগ্রিক আর্থিক অবস্থার বিকাশ ঘটছে। ফলে অনেকেই গাড়ি কিনছেন – তা দু’চাকার বা চার চাকার। গুগল ও বস্টন কনসালটিং গ্রুপের যৌথ উদ্দ্যোগে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পার করে যাবে ভারতের গাড়ি উৎপাদনকারী শিল্পের বাজার। শুধু তা-ই নয়, রাস্তায় আরও বাড়বে বৈদ্যুতিন গাড়ির সংখ্যা। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে বাড়বে বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা। চার চাকা হোক কিংবা দুই চাকা। পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়ি ছেড়ে বৈদ্যুতিন গাড়ির দিকেই ঝোঁক বাড়াবে সাধারণ মানুষ। এটা কিন্তু দেশের কাছে খুবই শুভ সংবাদ।
ইতিমধ্যেই দেশে গাড়ি-বাইক ব্যবহারকারী ৩ জনের মধ্যে ১ জন বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি ব্যবহার করে, বলে জানা যাচ্ছে সেই সমীক্ষা সূত্রে। অবশ্য, বিদ্যুৎ চালিত এই গাড়ির বাজারে মূল প্রভাবটা ফেলবেন ভারতীয় নারীরা। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন বিক্রি হওয়া বৈদ্যুতিন গাড়িগুলির মধ্যে ৫২ শতাংশ গাড়ি মহিলাদের নামে। দেশের গাড়ি শিল্পে গতি আনতে বাড়তি জোর দিচ্ছে কেন্দ্রও। সম্প্রতি, নয়ডার প্রগতি ময়দানে শুরু হওয়া ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে ভারতে হুড়মুড়িয়ে গাড়ির বিক্রি বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। তার পর থেকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে এই গাড়ি শিল্প।