শরীরে জমা অতিরিক্ত ইউরিক এসিড এখন ভারতে একটা জ্বলন্ত সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে বাঁচার কৌশল প্রকৃতি রাজ্যেই আছে। সাধানভাবে শরীরে নর্মাল ইউরিক এসিডের মাত্রা পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩.৪ — ৭.০ মহিলাদের ক্ষেত্রে ২.৪ — ৬.০ মিলিগ্রাম।
ভারতের ক্ষেত্রে এখন বাচ্চাদেরও শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বাড়ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে কিডনি অতিরিক্ত ইউরিক এসিড বের করতে না পারলেই এই সমস্যা বাড়ে।একে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’।
এই সমস্যা থেকে শরীরকে রক্ষা করার ৫টি নিদান দিয়েছেন পুষ্টিবিশেষজ্ঞরা।
১) পাতি/কাগজি লেবু –
এক গ্লাস গরম জলে লেবুর রস সকালে খালিপেটে খান। এক সপ্তাহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রভাব দেখতে শুরু করবেন।আসলে লেবুতে থাকা এসিড উপাদান ইউরিক এসিড কমাতে সাহায্য করে।
২) বেকিং সোডা – বেকিং সোডা ইউরিক এসিডিকে ভেঙে কিডনি দিয়ে বের করতে সাহায্য করে।তবে একসঙ্গে খাওয়া যাবে না।এক লিটার জলে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে সারাদিন ধরে অল্প অল্প করে খান। ৭ দিন পরে টেস্ট করে দেখুন ইউরিক এসিড অনেক নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
৩) অতিরিক্ত পশুজ প্রোটিন বর্জন – অতিরিক্ত ইউরিক এসিড জমার প্রধান কারণ অতিরিক্ত প্রোটিন। তাই অতিরিক্ত প্রোটিন বিশেষ করে লাল মাংস বর্জন করে ফাইবার যুক্ত ফল ও সবজি খাদ্য তালিকায় রাখুন। ধীরে ধীরে ইউরিক এসিড কিডনি দিয়ে অপসারিত হয়ে শরীর তরতাজা রাখবে।
৪) অলিভয়েল – রান্নায় সাদাতেল বা সর্ষার তেলের জায়গায় আলিভয়েল আনুন। অলিভয়েলের ওমেগা-3 ফ্যাটি এসিড ও এন্টি অক্সিডেন্ট ইউরিক এসিডকে ভাঙতে সাহায্য করে।
৫) আপেল ভিনেগার – আপেল সিডার ভিনেগার একটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার ও ডিটক্সিফায়ার। যা শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস জলে এক চামচ আপেল ভিনেগার মিশিয়ে সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে খান। অনেক উপকার পাবেন।